Advertisment

'যেখানে খুশি যান', পবনকে কড়া বার্তা নীতিশের

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পবন বলেন, 'এই দলে থেকে কাজ করা ক্রমশ অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পবনকে অন্য যেকোনও দলে যোগদানের পরামর্শ দিলেন নীতিশ।

দু'দিন আগেই টুইটে নীতিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক পবন বর্মা। এবার সবাইকে চমকে দিলেন জেডিইউ সভাপতি নীতিশ কুমার। প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত আলোচনা ফাঁস করায় পবনকে অন্য যেকোনও দলে যোগদানের পরামর্শ দিলেন তিনি।

Advertisment

পবন বর্মাকে নিশানা করে এদিন নীতিশ কুমার বলেন, 'দলের অবস্থান স্পষ্ট। দল ছেড়ে অন্য যে কোনও পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। আমাদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা না থাকলেও আমি তাঁকে সম্মান করি।' এরপরই দলের সাধারণ সম্পাদকের তোলা বিতর্ক নিয়ে নীতিশ কুমার বলেন, 'কোনও বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে আলোচনা না করে তা প্রকাশ্যে বলার অর্থ কী?'

23, 2020

সংযুক্ত জনতা দলের সভাপতি নীতিশ কুমারের এই মন্তব্যেকে স্বাগত জানিয়েছেন পবন বর্মা। তাঁর কথায়, 'দলের অন্দরে এই ধরনের আলোচনা হলে তা স্বাগত। নীতিশ কুমারের কথা শুনে মনে হচ্ছে এখনও দলের মধ্যে আলোচনার অবকাশ রয়েছে। আমি এই গণতন্ত্রের কথাই বলতে চেয়েছিলাম। দলের প্রধানকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমার চিঠির জবাব এলেই পরবর্তী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করব।' পরে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পবন বলেন, 'এই দলে থেকে কাজ করা ক্রমশ অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। '

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আসামের বিক্ষোভকারীদের পাশে নীতিশ কুমার

২০১২ সালে নীতি কুমারের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কথোপকথনও উল্লেখ পবন লিখেছিলেন, 'যখন আপনি মহাজোটের নেতৃত্বে ছিলেন, সে সময় প্রকাশ্যেই আরএসএস-মুক্ত ভারতের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমার মনে আছে, একান্ত আলাপচারিতায় আপনি স্বীকার করেছিলেন যে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব কী ভাবে আপনাকে অপমান করেছিলে। এটাই যদি আপনার আসল মতামত হয়, তবে জেডিইউ কী করে বিহারের বাইরে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ছে, যখন তাদের অকালি দলের মতো তাদের দীর্ঘ দিনের জোটসঙ্গী তা করতে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে।'

21, 2020

পবনের চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই বিড়ম্বনা বাড়ে জেডিইউয়ের। ঘনিষ্ট মহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নীতিশ কুমার। তারপর বৃহস্পতিবার পবন বর্মা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই প্রথম নয়। বিহারে সিএএ-এনআরসি ও এনপিআর কার্যক্রম লাগু না করতে বলে জানুয়ারির শুরুর দিকে নীতিশ কুমারকে আবেদন জানিয়েছিলেন জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক পবন বর্মা। তাঁর কথায়, 'সিএএ-এনআরসি ও এনপিআর হল ভারতকে ভাগ ও অহেতুক সামাজিক অশান্তি সৃষ্টির এক বিশাল কর্মসূচী।' জেডিইউ সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরও নয়া আইনকে সমর্থন করায় নিজের দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন।

Read the full story in English

national news bihar
Advertisment