ফের কেন্দ্রীয় সরকারি বৈঠক এড়ালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই নিয়ে তিন সপ্তাহে চার বার। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকছেন না নীতীশ। নীতীশের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, সম্প্রতি কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন তিনি। তাই এই সময়ে দিল্লি সফর নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্যই তিনি বৈঠকে যাচ্ছেন না। কিন্তু আগের বৈঠকগুলিতেও তিনি ছিলেন না, যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
গত জুলাই মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু করলে এই নিয়ে চতুর্থবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বৈঠক থেকে দূরে থাকলেন। বিজেপির সঙ্গে তাঁর দল সংযুক্ত জনতা দলের জোট সরকার বিহারে। দলের এক শীর্ষ নেতা আর সি পি সিং সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সদস্য হওয়া নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে জনতা দল ছেড়েছেন।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নীতীশও বৈঠকে থাকছেন না। নীতীশ জাতীয় তাঁত দিবস উপলক্ষ্যে পাটনার একটি অনুষ্ঠানে রবিবার যোগ দিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী তারকিয়াহোর প্রসাদ এবং শিল্পমন্ত্রী শাহনওয়াজ হোসেন। সোমবার জনতার দরবারেও বসবেন নীতীশ। কিন্তু তিনি কোভিডের কারণ দেখিয়ে তিনি দিল্লি এলেন না। তাতেই জল্পনা বাড়ছে।
আরও পড়ুন রেকর্ড জাতীয় পতাকা বিক্রি মোদী রাজ্যে, পোস্ট অফিসে বিশেষ ‘সেলফি জোন’!
এর আগে ১৭ জুলাই জাতীয় পতাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে যাননি নীতীশ। ২২ জুলাই রামনাথ কোবিন্দের রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার আগে ফেয়ারওয়েল ডিনারের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী। সবাই এলেও নীতীশ আসেননি। ২৫ জুলাই দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি পদে শপথগ্রহণেও আসেননি।
সূত্রের খবর, ইদানীং বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বোঝাপড়া ভাল নেই নীতীশের। সম্প্রতি বিহার বিধানসভার শতবর্ষ পালন অনুষ্ঠানে স্পিকার বিজয় কুমার সিনহার নেতৃত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনায় গাফিলতি দেখা যায়। সেই অনু্ষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কার্ডে নামই ছিল না নীতীশের। বিজেপির বিধায়ক বলেই কি স্পিকার এমনটা করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই অপমানেই বিজেপির উপর রুষ্ট হয়েছেন নীতীশ, খবর জনতা দল সূত্রে।
এক বিজেপি নেতা নীতীশের নীতি আয়োগের বৈঠকে না থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বলেছেন, এটা ভাল সঙ্কেত নয়। নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীরা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এবং নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান রয়েছেন।