স্পষ্ট হয়ে গেল যে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর আগামী মাসে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। শনিবার কংগ্রেস নির্বাচনের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য দলের জানালা খুলতেই সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন শশী।
দলের কার্যালয় থেকে আগামী একপ্তাহ এভাবেই ইচ্ছুক প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। জমাও দিতে পারবেন। সংগ্রহ করতে পারবেন নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র। এআইসিসি সূত্রে খবর, থারুরের এক প্রতিনিধি তিরুঅনন্তপুরমের এই সাংসদের থেকে অনুমোদনের চিঠি নিয়ে এআইসিসি সদর দফতরে পৌঁছন। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি তাঁকে পাঁচ সেট মনোনয়নপত্র দিয়েছেন।
মিস্ত্রির কাছে পাঠানো চিঠিতে থারুর লিখেছেন, 'আমি আজ আপনাকে লিখছি যাতে আপনি আসন্ন AICC প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য পাঁচটি মনোনয়নপত্রের ফর্ম দেন। আমার কর্মীদের একজন মিস্টার আলিম জাভেরিকে পাঠিয়েছি। তাঁকে আমি আমার পক্ষ থেকে এই ফর্ম সংগ্রহ করার অনুমোদন দিয়েছি।' এই নির্বাচনে থারুর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মুখোমুখি হবেন। শুক্রবারই গেহলট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন যে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণনা হবে ১৯ অক্টোবর।
আরও পড়ুন- বিরাট প্রতারণা ! বিদেশে চাকরিতে গিয়ে বন্দি ভারতীয় যুবকরা, সতর্ক করল বিদেশ মন্ত্রক
এছাড়া আরও দু'জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসেছিলেন। কিন্তু, তাঁরা কেউ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি নন। অথবা, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থিত নয়। তাই তাঁদের মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে এক জন নিজেকে হিমাচল প্রদেশের মান্ডির লক্ষ্মীকান্ত শর্মা এবং অন্যজন উত্তরপ্রদেশের সম্বলের বিনোদ সারতি বলে পরিচয় দিয়েছেন। কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই নির্বাচনে কেবলমাত্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
এই ঘটনা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের ধরতিপাকড়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। কারণ, ধরতিপাকড় ছোট বা বড় বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভালোবাসতেন। এমনকী, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে তৎকালীন প্রার্থী রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
Read full story in English