ফের প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় কংগ্রেস। এবার সোনিয়া, রাহুল গান্ধিদের দলকে আক্রমণ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের। বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের অবস্থান ও চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দিলেও বিরোধী জোটের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে কংগ্রেসকে একেবারেই আস্থা নেই পিকে-র। টুইটে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন পিকে, এমনই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কংগ্রেসের ঐশ্বরিক অধিকার নয়। বিশেষ করে যখন দলটি যখন গত ১০ বছরে ৯০%-এর বেশি নির্বাচনে হেরেছে।'
এবার সোনিয়া, রাহুলদের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এক সময় পিকে কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে জল্পনা বাড়ে। যদিও শেষমেশ তা হয়নি। এর আগেও কংগ্রেসকে বিজেপি বিরোধী প্রধান শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে গেলে আরও বেশি করে ময়দানে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কংগ্রেসের রাজনৈতিক লড়াই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন পিকে। এবার ফের একবার তাঁর নিশানায় হাত-শিবির। বলা বাহুল্য মূলত গান্ধী পরিবারকেই নিশানা করেছেন পিকে।
টুইটে ঠিক কী লিখেছেন প্রশান্ত? নাম না করে সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কাদের দুষে তিনি লিখেছেন, 'কংগ্রেস যে চিন্তাভাবনা ও রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী তা বিরোধীদের শক্তিশালী করার জন্য অত্যাবশ্যক। কিন্তু বিরোধী জোটের নেতৃত্ব একজনের (পড়ুন কংগ্রেস) ঐশ্বরিক অধিকার নয়। বিশেষ করে যখন এই দলটি যখন গত ১০ বছরে ৯০%-এরও বেশি নির্বাচনে হেরেছে।'
আরও পড়ুন- ‘২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ৩০০ আসন পাবে না’, দলের অস্বস্তি বাড়ালেন আজাদ
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন দেশের একাংশের রাজনীতিকরা। একুশের ভোটে বাংলায় বিপুল সাফল্য তৃণমূলকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই বেশ প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। বাংলার সীমান ছাড়িয়ে ত্রিপুরা, অসম, গোয়ায় সংগঠন সাজিয়েছে তৃণমূল।
দিল্লিতেও জোড়াফুলের কদর বেড়েছে। বিজেপি বিরোধী প্রধান শক্তি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ইতিমধ্যেই মান্যতা দিয়েছেন দেশের তাবড় রাজনীতিবিদ। এপ্রসঙ্গে এদিন টুইটে পিকে-ও ইঙ্গিতপূর্ণ একটি মন্তব্য করেছেন। 'গণতান্ত্রিকভাবে বিরোধী নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক', শীর্ষক মন্তব্যে তৃণমূলের নেতৃত্বেই মোদী বিরোধিতায় জোট চাইছেন পিকে? সরাসরি তা না বললেও প্রশান্ত কিশোরের ইঙ্গিত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন