বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নাগরিকত্ব বিল সমর্থন করেছিলেন। প্রশংসা করেছিলেন আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির। তার একদিন পরেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল দেশের প্রতিটি রাজ্যে এন আর সি লাগু করার পক্ষে সওয়াল করলেন।
এন আর সি নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে সোনোয়াল বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুধুমাত্র আসামের সমস্যা বলে দেখা ঠিক নয়। তিনি বলেন, দিল্লি এবং অন্যান্য মেট্রো শহরগুলিও এখন বেআইনি অভিবাসীদের নিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, ১৫ নয়, ১০টি নথির মাধ্যমে এন আর সি-তে নাম তুলতে পারবেন আসামের ৪০ লাখ বাসিন্দা, মত শীর্ষ আদালতের
সেনোয়াল এদিন বলেছেন, বিদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দেশের থেকে আমাদের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা আমাদের অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের প্রত্যুত্তর দিতে প্রতিটি রাজ্যে এন আর সি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’’ আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এন আর সি এমন একটি নথি, যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। সোনোয়াল বলেন, তিনি চান এ বিষয়ে সমস্ত রাজ্য গুরুত্ব সহকারে চিন্তা-ভাবনা করুক।
সব রাজ্যে এন আর সি নিয়ে নিজের প্রস্তাবের সমর্থনে সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, আসামে এন আর সি লাগু হওয়ার পর বিদেশি অনুপ্রবেশকারীরা অন্য রাজ্যে যেতে শুরু করলে কী হবে তা ভেবে দেখা প্রয়োজন।
আসামে খসড়া এন আর সি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে গত ৩০ জুলাই, যে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ। সোনোয়ালের বক্তব্য এ ব্যাপারে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই, ভারতের সমস্ত খাঁটি নাগরিকরা যাতে এন আর সি তালিকায় স্থান পান, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের।
এত বিশাল সংখ্যক মানুষের তালিকায় ঠাঁই না হওয়া নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে প্রসঙ্গে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদিক-ওদিক কিছু ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলেও সরকার জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছে যাতে সেগুলিকে সংশোধন করা যায়।
সোনোয়াল এদিন বলেন, জুলাইয়ের শেষে প্রকাশিত এন আর সি তালিকা যে একটি খসড়ামাত্র, সে কথা মনে রাখা দরকার। যেসব খাঁটি নাগরিকরা ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীর আমলে বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হবে বলেও দাবি করেছেন এই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী।