আসামের পর শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশব্যাপী এনআরসি চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এনআরসিতে নাগরিকত্ব নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার জন্য বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেছেন পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা। শচীন্দ্রবাবুর দাবি, ‘‘সিটিজেন্সশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ বিরোধী দলগুলো বিরোধিতা করায় পাস হয়নি’’। এই বিল পাস করানোর দাবিও তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরষদ এবার ২ লক্ষ নতুন সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এ রাজ্যে। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর হিতচিন্তক কর্মসূচি রয়েছে ভিএইচপির।
আসামের নাগরিক পঞ্জির তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ১৯ লক্ষের নাম বাদ গিয়েছে। নাম ঘোষণার দিন থেকে ১২০ দিন সময় পাবেন আবেদনের জন্য। এদিন শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরোধিতা করছেন। বিশেষ করে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬০টি বিধানসভায় জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি। একইসঙ্গে হিন্দুদের মধ্যে জাতপাতের বিরোধ ঘটিয়ে ৮৪টি বিধানসভায় হিন্দু ভোট ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে’’।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
সিটিজেন্সশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ বিলকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের দোষারোপ করছে ভিএইচপি। হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনের বক্তব্য ওই বিল পাস হলে এনআরসি নিয়ে কোনও সমস্যা হত না। ওই বিল অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় অত্যাচার বা আশঙ্কায় দেশ ত্যাগ করে ভারতে প্রবেশ করেন। তাঁদের জন্য ওই আইনে সংশোধন করা হয়েছিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এ রাজ্য থেকে বিতারণের কোনও জটিলতা থাকত না।
এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপি ১ কোটি সদস্য করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। শচীন্দ্রনাথবাবু জানান, এবছর তাঁদের লক্ষ্য ৪ লক্ষ সদস্য করা। তার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে দেড় লক্ষ ও উত্তরবঙ্গে ৫০ হাজার। তিন বছর আগে তাঁদের সদস্য ছিল ৪০ হাজার। তার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ২৫ হাজার ও উত্তরবঙ্গে ১৫ হাজার সদস্য রয়েছেন।