Advertisment

‘‘শো-পিস নই’’ বলে দল ছাড়লেন ওড়িশার দুই বিজেপি নেতা

দলের ‘শো-পিস’ হিসেবে থাকতে চান না, তাই অসন্তোষ প্রকাশ করে দল ছাড়লেন ওড়িশার দুই বিজেপি নেতা। অমিত শাহের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন দিলীপ রায় ও বিজয় মহাপাত্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dilip ray, দিলীপ রায়

বিধায়ক পদেও ইস্তফা দিলেন দিলীপ রায়। ছবি: টুইটার।

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের পর এবার ওড়িশাতেও বিজেপির ঘরে ভাঙন লাগল। দলের ‘শো-পিস’ হিসেবে থাকতে চান না, তাই অসন্তোষ প্রকাশ করে দল ছাড়লেন দুই বিজেপি নেতা। শুক্রবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন দিলীপ রায় ও বিজয় মহাপাত্র। বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন দিলীপ। ওড়িশা বিধানসভার অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার আমতের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন রৌরকেলার বিধায়ক।

Advertisment

পদত্যাগপত্রে ওই বিজেপি নেতারা লিখেছেন যে, দলে তাঁদের আসবাবপত্রের মতো করে রাখা হয়েছিল। অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা শো-পিস হিসেবে দলে থাকতে পারব না।’’ দুই বিজেপি নেতার দলত্যাগ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেই দিলীপ ও বিজয় দল ছাড়লেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে সে রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সম্ভবত ধর্মেন্দ্র প্রধান।

আরও পড়ুন, ভোটের মুখে দল ছাড়লেন রাজস্থানের আরেক বিজেপি বিধায়ক

অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে সে রাজ্যের বেশ কিছু ইস্যু তুলে ধরেছেন দিলীপ। ছত্তীসগড়ের সঙ্গে মহানদীর জল ভাগাভাগি নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি ব্রাহ্মণী নদীতে সেতু নির্মাণ, রৌরকেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও ওড়িশায় কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুর কথা লিখেছেন দিলীপ। তিনি চিঠিতে লিখেছেন যে, সে রাজ্যে দলের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে বারবার জানানো সত্ত্বেও দলের কোনও শীর্ষ নেতাই আমল দেননি।

২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে এদিন নিজের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন দিলীপ। তিনি লিখেছেন যে, ২০১৪ সালের ভোটে যে দুই ইস্যুতে তিনি লড়েছিলেন, সেই ইস্যুতে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। সেকারণেই আগামী নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

দিলীপের লেখা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল ও ব্রাহ্মণী নদীতে সেতু তৈরির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগকে শুধুমাত্র আধুনিকীকরণ করা হয়েছে মাত্র। তাছাড়া গত বছর শুধু সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। ভোটের মুখে সে দলের দুই নেতার পদত্যাগের জেরে ভোটের মুখে স্বভাবতই চাপে গেরুয়াশিবির।

Read the full story in English

bjp
Advertisment