পদ্মপ্রেমেই হাতে নেই ঘাসফুল, দাবি ওমপ্রকাশের

কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের এই নেতা।

কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের এই নেতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
তৃণমূলে যোগ দিতেই মমতা ‘সমালোচক’ রাতারাতি ‘রত্ন’

বিধানসভায় মমতা-পার্থর সঙ্গে ওমপ্রকাশ মিশ্র। ছবি: ইউটিউব।

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েই রাজ্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। তাঁর দাবি, ‘‘এ রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে সহযোগিতা করছে না কংগ্রেস। বিজেপির মোকাবিলায় এছাড়া কোনও পথ নেই। ’’ মঙ্গলবার রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করার পর তিনি বুধবার তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisment

আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিতেই মমতা ‘সমালোচক’ রাতারাতি ‘রত্ন’

-->

আবারও দলবদল বঙ্গ রাজনীতিতে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। বুধবার বিধানসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা। এদিন বিধানসভায় ওমপ্রকাশের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ওমপ্রকাশ মিশ্রকে দলে শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি কোর কমিটির সদস্যও থাকবেন।

আরও পড়ুন: বৈশাখীই ব্ল্যাকমেল করছেন, শোভনের কোনও হাত নেই: রত্না

Advertisment

এদিনই বিধানসভায় যান প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিধানসভার একটা ঘরে যখন অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, সোমেন মিত্ররা উপস্থিত, ঠিক সে সময়ই অন্য একটি ঘরে কংগ্রেসের ‘হাত’ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ওমপ্রকাশ। উল্লেখ্য, টেলিভিশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সমালোচক ছিলেন ওমপ্রকাশ। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক সেই মমতার দলেই যোগ দিলেন।

আরও পড়ুন: বৈশাখী ‘নতুন বউ’! শোভন কী বললেন দিলীপকে?

প্রসঙ্গত, উনিশের নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের ‘ভরাডুবি’র দায় মাথায় নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি এক বিবৃতিতে ওমপ্রকাশ জানান, ‘‘এ বারের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই কংগ্রেসের ফলাফল সবচেয়ে খারাপ। প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও পদাধিকারীই এর দায় এড়াতে পারেন না। এআইসিসির পাঠানো পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্যরাও ব্যর্থ। তিন জন কার্যনির্বাহী সভাপতি দীপা দাশমুন্সি, নেপাল মাহাত ও শংকর মালাকার ভোটে দাঁড়িয়ে নিজেদের আসনে পরাজিত হয়েছেন। কেউ ১০ শতাংশ ভোট পাননি, কেউ চতুর্থ হয়েছেন। অধীর চৌধুরী শুধুমাত্র বহরমপুর বিধানসভা এলাকার জোরে নিজের আসনটা ধরে রাখতে পেরেছেন। অধীরের জেলার বাকি দুটো আসনে তৃণমূল বিপুল জয় পেয়েছে। অধীরও দায় এড়াতে পারেন না। সবার উচিত পদত্যাগ করা’’।

ওমপ্রকাশের ওই বিবৃতির পরই কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, পদ যখন একটা রয়েছে, তখন পদত্যাগ করতেই পারেন। ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আমার পদত্য়াগ পত্র গ্রহণ করেছেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন। আমার পদত্য়াগ পত্র নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি কংগ্রেস। তারপর তো একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এরাজ্য়ে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তৃণমূলকে সহযোগিতা করছে না কংগ্রেস। নিজের নাক কেটে অন্য়ের যাত্রা ভঙ্গ করছে।’’

tmc