One Nation One Election Bill : ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন বিল পেশ হল লোকসভায়। 'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করা সরকারের কাছে নিঃসন্দেহে এক কঠিন কাজ হতে চলেছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
সংবিধান সংশোধনের জন্য বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। এই অবস্থায় সংবিধান সংশোধনের জন্য উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য থাকা এবং ভোটে ৫০% এর বেশি ভোট পাওয়া প্রয়োজন। যেখানে এনডিএ-র সমস্যা হল ইন্ডিয়া জোটের সব দল এক দেশ এক নির্বাচনে্র বিরুদ্ধে।
'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল সম্পর্কে জানুন-
এই বিলটি সারা দেশে একটি নির্বাচন করার পথ প্রশস্ত করেছে 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' বিলে একযোগে নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশ গৃহীত হয়।
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ এর জন্য দুটি বিল আনছে সরকার। এর মধ্যে একটি সংবিধান সংশোধনী বিল। যার জন্য প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। NDA বর্তমানে ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৯২টি আসন রয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩৬২ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।
এনডিএ-র বর্তমানে রাজ্যসভার ২৪৫ টি আসনের মধ্যে ১১২ টি আসন রয়েছে, যেখানে ৬ জন মনোনীত সাংসদের সমর্থনও পেয়েছে। যেখানে বিরোধীদের আসন সংখ্যা ৮৫। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৬৪ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার এখন বিল নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে চায়। সরকার বিস্তারিত আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিতে পাঠাতে পারে।
বিলের বিষয়ে গঠিত রামনাথ কোবিন্দ কমিটিতে ৪৭টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি দল বিলকে সমর্থন করলেও এবং ১৫টি দল বিলের বিরোধিতা করে। বিরোধী দলগুলির লোকসভা সাংসদের সংখ্যা ২০৫ জন। তার মানে ইন্ডিয়া জোটের সমর্থন ছাড়া সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করা কঠিন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বছরের সেপ্টেম্বরে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং পুরসভা-পঞ্চায়েতের জন্য পর্যায়ক্রমে নির্বাচনের জন্য 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছিল।