Advertisment

Opposition On One nation, one election: আলোচনা করা হয়নি, 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' ইস্যুতে মোদী সরকারকে ধুইয়ে দিল বিরোধীরা

Opposition On One nation, one election: ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় মোদী মন্ত্রিসভা। যার উদ্দেশ্য হল একই সময়ে এক সঙ্গে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। কোবিন্দ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
one nation one election modi

তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে, 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' ইস্যুতে মোদী সরকারকে ধুইয়ে দিল বিরোধীরা


Opposition On One nation, one election:  ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় মোদী মন্ত্রিসভা। যার উদ্দেশ্য হল একই সময়ে এক সঙ্গে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। কোবিন্দ কমিটির  সুপারিশের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি মোট ১৮,৬২৬ পাতার রিপোর্ট রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে জমা দেন। 

Advertisment

ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনের রিপোর্ট চলতি বছরের মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি জানিয়েছে, সব পক্ষ, বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে হতাশ, কর্মবিরতি জারি রাখার সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তাররা

কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ৪৭ টি রাজনৈতিক দল কমিটির সঙ্গে তাদের মতামত শেয়ার করেছে, যার মধ্যে ৩২ টি রাজনৈতিক দল 'এক জাতি এক নির্বাচন' প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর, ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত, লোকসভা  এবং রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পক্ষে সরকারের মত,  নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচনের ব্যয়ও কমবে। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারীরাও নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন এবং তারা বিভাগীয় কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন।

এদিকে এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে বলেছেন - 'এক দেশ-এক নির্বাচন' ধারণা বাস্তবসম্মত নয়, বিজেপি 'আসল বিষয়' থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যখনই নির্বাচন ঘনিয়ে আসে, তখন বিজেপি আসল বিষয়গুলি থেকে মনোযোগ সরাতে এমন সব ধারণা নিয়ে কথা বলে'। 

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগে মার্চ মাসে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন সিস্টেম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সংবিধান ও আইন পরিবর্তন। এক দেশ, এক নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশনের অনুমোদন দিয়েছে মোদী  মন্ত্রিসভা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন সংক্রান্ত কমিটির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হয়েছিল, যেখানে এনডিএ সরকার তা অনুমোদন করেছে। একইসঙ্গে, কমিটি সব বিধানসভার মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের পর এখন প্রতিবাদ শুরু করেছেন বিরোধী দলগুলোর নেতারা।

'দলিতদের উপর নয় সংবিধানের উপর আক্রমণ', নওদার 'আগুনে' নীতীশকে নিশানা কংগ্রেসের

সূত্রের খবর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট বিল সংসদে পেশ করতে পারে।  একইসঙ্গে ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন সিস্টেম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সংবিধান ও আইন পরিবর্তন। এক দেশ, এক নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এর জন্য রাজ্যগুলির সম্মতিও প্রয়োজন। 

কোন ৩২টি দল 'ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন' সমর্থন করেছিল?

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত প্যানেল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' প্রস্তাবে ৪৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টি দল এই ধারণাকে সমর্থন করেছে, আর ১৫টি রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করেছে।

কোন দল ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনকে সমর্থন করেছে? 

সমর্থনকারী দলের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। এর পরে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, আপনা দল (এস), অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন,  আসাম গণ পরিষদ, বিজু জনতা দল, লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস পাসোয়ান), মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, জেডিইউ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল পার্টি, যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টি। , অন্যান্য দল যেমন সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল অফ অসম, শিবসেনা, তেলেগু দেশম পার্টি,  এআইএডিএমকে এবং আকালি দল ।

'এক জাতি-এক নির্বাচনের' বিরোধিতা করেছে যে দলগুলি

'ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন'-এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে দেশের চারটি জাতীয় দল। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং ভারতের  কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) বা সিপিআই (এম)। এছাড়াও অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন, নাগা পিপলস ফ্রন্ট, দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, মারুমালর্চি দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম, শিবসেনা ইউবিটি, এনসিপি (শারদ পাওয়ার)।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘এক জাতি, এক নির্বাচন’ প্রস্তাব... শুধু ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর পরিপন্থী নয়, বাস্তবে বাস্তবায়ন করাও অসম্ভব। বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই যে এই  জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। যা থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের 'বিদ্বেষপূর্ণ' অভিপ্রায় সকলের কাছে স্পস্ট"।

কেন্দ্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন বলেছেন: “তারা (বিজেপি) চায় শুধুমাত্র একটি দল এই দেশকে শাসন করুক এবং একটি মাত্র সরকার থাকুক… তা কেন্দ্র হোক বা রাজ্য। অন্য কোনো সরকার থাকবে না..."।

বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম) নেতা পিনারাই বিজয়ন বলেছেন "ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে 'অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা' দেওয়ার এটি একটি গোপন এজেন্ডা"। টিএমসি সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বলেছেন,  "গণতন্ত্রবিরোধী বিজেপির আরেকটি সস্তা পদক্ষেপ পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন “কেন হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের সাথে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন ঘোষণা হল না"?

tmc CONGRESS modi Mallikarjun Kharge
Advertisment