Nawada Fire: নওদার 'আগুনে' উত্তপ্ত রাজনীতি, এই ঘটনায় ১০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নওদার মুফাসসিল থানা এলাকার কৃষ্ণ নগরে বহু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি। প্রাথমিক ভাবে গ্রামবাসীদের দাবি প্রায় ৮০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর রাজ্যের রাজনীতিও 'উত্তপ্ত' হয়ে উঠেছে। এখন প্রশ্ন ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ?
জানা গিয়েছে, যেখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে সেটি সরকারি জমি। ১০-১২ বছর ধরে মানুষজন এখানে অবৈধ ভাবে বসবাস করছিলেন। এর আগে মহাদলিত গোষ্ঠীর ৪৮ জন পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিল, কিন্তু দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
গ্রাম বাসীরা জানিয়েছেন, ১৯৯৫ সাল থেকে এই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন তারা। গত ১০-১২ বছর ধরে জমিতে ৮০ থেকে ৮৫টি ঘর নির্মাণ করে মানুষ বসবাস করছেন। ঘটনার পিছনে জমি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ও গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের করে গোটা ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
'আন্দোলনকে ঘোরানো যাবে না, CBI-কে সব সাহায্য', সিজিও-য় ঢোকার মুখে বললেন মীনাক্ষী
কী জানাচ্ছে প্রশাসন?
নওয়াদার ডিএম আশুতোষ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রামবাসীর বক্তব্যের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একটি দল এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করেছেন।
নওয়াদার এসপি অভিনব ধীমান বলেছেন, এই ঘটনায় যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ১৫ মিনিটের মধ্যে এসে তদন্ত শুরু করে। ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি।
'এক দেশ-এক নির্বাচনে' অনুমোদন মোদী মন্ত্রিসভার, বিল আসছে কবে?
নওয়াদায় এই ঘটনায় সরকারকে কোণঠাসা করেছেন বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব। JDU মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেছেন যে প্রাথমিকভাবে এটি জমি সংক্রান্ত বিবাদের ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। সরকার সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার কোনো অপচেষ্টা সফল হতে দেবে না।
রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে হতাশ, কর্মবিরতি জারি রাখার সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তাররা
বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী জনক রাম বলেছেন, এটা মহাজোটের ষড়যন্ত্র। তেজস্বী যাদবের বাবা-মায়ের শাসনকালে যেভাবে সমাজে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই একই ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দলিতদের টার্গেট করা হচ্ছে। দলিতদের বাড়িঘর পুড়িয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, কিন্তু ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। বিহারে নীতীশ কুমারের সুশাসনের সরকার রয়েছে। দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রেমের বার্তা দিয়ে ঘৃণার শিকার রাহুল, বিজেপির বিরুদ্ধে 'কড়া' অবস্থানে কংগ্রেস
কংগ্রেস বিধায়ক শাকিল আহমেদ খান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেছেন, বিহারে আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। নীতীশ সরকারের এক মিনিটও আর কুর্সিতে বসার কোন অধিকার নেই। ৮০টি পরিবারের ঘর বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা দলিতদের উপর নয়, সংবিধানের উপর আক্রমণ।