Advertisment

সংক্রান্তির পরই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে পারেন কেসিআর

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মহম্মদ মেহমুদ আলির নামই শুধু ঘোষণা করেছেন কেসিআর। কিন্তু বাকি মন্ত্রীদের নিয়োগপর্ব এখনও সারেননি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। সংক্রান্তির পরই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে পারেন কেসিআর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kcr, কেসিআর

কে চন্দ্রশেখর রাও। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

একমাস পেরিয়েছে, তিনি বিপুল ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরেছেন। কিন্তু এখনও নিজের মন্ত্রিসভা তৈরিই করলেন না কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মহম্মদ মেহমুদ আলির নামই শুধু ঘোষণা করেছেন কেসিআর। কিন্তু বাকি মন্ত্রীদের নিয়োগপর্ব এখনও সারেননি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। সংক্রান্তির পরই নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা করতে পারেন কেসিআর, টিআরএস সূত্রে এমনই খবর।

Advertisment

এ প্রসঙ্গে টিআরএসের এক নেতা বলেছেন, মন্ত্রিত্বের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। ফলে সব দাবিদারদের মন্ত্রিত্ব নিয়ে বিবেচনা করে দেখছেন টিআরএস প্রধান। একইসঙ্গে যতটা সম্ভব সকলের দাবি পূরণ করা যায়, সে ব্যাপারেও মাথা ঘামাচ্ছেন কেসিআর। পাশাপাশি রাজস্ব ও সেচের মতো বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক সারছেন চন্দ্রশেখর রাও। আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি তেলঙ্গানা বিধানসভার অধিবেশন বসবে। সেখানে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ ছাড়াও স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করা হবে। বিধানসভা অধিবেশন শেষেই নিজের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে পারেন কেসিআর।

আরও পড়ুন, মায়াবতীর সব কথায় অখিলেশ সায় দিলেই এ জোট টিকবে, বিস্ফোরক সপা বিধায়ক

এদিকে, দলে নিজের ছেলে কে টি রামা রাওয়ের দায়িত্ব বাড়িয়ে ভাইপো টি হরিশ রাওয়ের ভূমিকা লঘু করার দিকে এগোচ্ছেন কেসিআর। আগের সরকারে সেচমন্ত্রী ছিলেন হরিশ। ৮০ হাজার কোটি টাকার কালেশ্বরম সেচ প্রকল্প-সহ বেশ কয়েরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে ছিলেন হরিশ। প্রসঙ্গত, গত আড়াই বছরে হায়দরাবাদে সেভাবে দেখাই যায়নি তাঁকে। কারণ সেচ প্রকল্পের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

ভোটের পর কোনও দায়িত্ব ছাড়াই নিজের বাড়িতেই রয়েছেন হরিশ। গত ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে হরিশকে সঙ্গে না নিয়েই প্রকল্প স্থলে গিয়েছিলেন কেসিআর। এমনকি, হরিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিককেও বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনাবলি দেখেই দলের অন্দরে জল্পনা চলছে, নতুন সরকারে সেচ বিভাগের দায়িত্ব হয়তো হরিশকে নাও দিতে পারেন কেসিআর। টিআরএসের কয়েকজন নেতা আবার বলছেন, হরিশকে হয়তো মন্ত্রী নাও করা হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে এক টিআরএস নেতা বলেন, ‘‘টিআরএসের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে টি রামা রাওয়ের নিয়োগের পর থেকেই কেসিআর-হরিশের সাক্ষাৎ হয়নি। ওঁদের দু’জনের মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই। মনে হচ্ছে হরিশকে সরানো হচ্ছে, যাতে কেটিআরকে আগামী দিনের নেতা হিসেবে তৈরি করা যায়।’’ ১৪ ডিসেম্বরের পর থেকে হায়দরাবাদে দলের প্রধান কার্যালয় যাওয়া বন্ধ করেছেন হরিশ। এমনকি, দলের অন্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন না তিনি।

Read the full story in English

national news
Advertisment