Advertisment

দিল্লি এক পা এগোলে আমরা দু পা এগোব: ইমরান খান

পাকিস্তানের ভোটে জয়ের পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কথা বললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান। আলোচনার টেবিলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তেহরিক এ নিশানের প্রধান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জিতে গেলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক এ ইনশাফের প্রধান ও পাক ক্রিকেট আইকন ইমরান খান জয় পাওয়ার পরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির বার্তা দিয়েছেন। এদিন জয়ের পরেই ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান বলেন, সম্পর্কের উন্নতিতে ‘‘দিল্লি যদি এক পা বাড়ায়, তাহলে আমরা দু পা বাড়াব।’’

Advertisment

ইমরান এদিনের ভাষণে বলেছেন, ‘‘২২ বছর আগে, দেশে প্রশাসনিক ব্যবস্থার মুখ থুবড়ে পড়া ও দুর্নীতি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রাজনীতিতে যোগ দেব।’’

পাকিস্তানের এবারে ভোট হয়েছে রক্তক্ষয়ী। কোয়েটায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন। আহত ৭০-এর কাছাকাছি।  বিরোধীরা ভয়ানক রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন, তবে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন পদ্ধতির রেজাল্ট ট্রান্সমিশন সিস্টেমের জন্যই ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে। এর আগে প্রকাশ্যে ভোটদানের জন্য ইমরান খানকে নোটিস পাঠিয়েছিল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইমরান বলেছেন, ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে, এবং সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সতর্ক থাকা উচিত।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে পাকিস্তানের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান ইমরান খান। সন্ত্রাসবাদী হানা সত্ত্বেও দেশের ভোট যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আরও পড়ুন, Kargil Vijay Diwas: কেন পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস?

ফল ঘোষণার পর সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান বলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হতে পারে আলোচনার মাধ্যমে। জিন্নার স্বপ্নের পাকিস্তান গড়াই যে তাঁর লক্ষ্য সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার।

কাশ্মীরের দীর্ঘদিন ধরে যে সমস্যা চলছে তা একমাত্র মিটতে পারে আলোচনার টেবিলে বসেই, একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ইমরান আরও বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান দুদেশের মধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার যে অভ্যাস, তাও বন্ধ হওয়া উচিত। উদাহরণ হিসেবে বালোচিস্তানে যা ঘটছে সে ব্যাপারে ভারতকে দায়ী করার প্রবণতার উদাহরণ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ইতিহাসে এবারই প্রথম ভোট দিলেন সংরক্ষণশীল এলাকার মহিলা ভোটাররা। খাইবার পাখতুন এবং পঞ্জাব এলাকার মহিলারা এবারই প্রথম ভোট দিলেন। পাকিস্তানে এবারের ভোটে নিয়ম হয়েছিল, প্রার্থীদের অন্তত ১০ শতাংশ মহিলা ভোট পেতে হবে।

সন্ত্রাসবাদী হামলা ও বারংবারের হুমকি সত্ত্বেও বালোচিস্তানের মহিলা ভোটাররা বিপুল সংখ্যায় ভোট দেন বলে জানিয়েছে পাক সংবাদপত্র ডন।

imran khan
Advertisment