Advertisment

পঞ্চায়েত ভোট: ১৪ মে নির্বাচন হবে কি? নজর হাইকোর্টে, বাহিনী নিয়ে এখনও চুপ ৫ রাজ্য

আগামী ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে কি? তা আজই হয়তো স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিকে অতিরিক্ত বাহিনী দেওয়া নিয়ে এখনও কিছু জানাল না ৫ রাজ্য, সরকারি সূত্রে এমনই খবর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kolkata highcourt

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আগামী ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে কি? তা আজই হয়তো স্পষ্ট হয়ে যাবে। আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এ নিয়ে শুনানি। পঞ্চায়েত ভোটের দ্বিতীয় নির্ঘণ্ট নিয়ে আপত্তি জানায় বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে কার্যত সিলমোহর দিয়ে একদফাতেই কমিশন ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা না করেই দিন ঘোষণা করায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বিরোধী শিবির। এ নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিএম ও পিডিএস। পরে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায় যে, ১৪ মে কমিশনের করা ভোটগ্রহণের ঘোষণা, প্রস্তাব, তা চূড়ান্ত দিন নয়। আগে ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে খতিয়ে দেখতে চায় আদালত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রিপোর্ট আকারে কমিশনকে ডিভিশন বেঞ্চে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, ভোটের চূড়ান্ত দিন ঘোষণা করবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisment

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: ১৪ মে নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা, চূড়ান্ত দিন ঠিক করবে হাইকোর্ট

অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ রাজ্যের কাছে বাহিনী চেয়ে দরবার করেছিল নবান্ন। এখনও ওই পাঁচ রাজ্যের তরফে এ ব্যাপারে কোনও জবাব মেলেনি বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য অতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে ওড়িশা, অসম, তেলেঙ্গনা, ছত্তীসগড় ও পাঞ্জাব সরকারকে চিঠি পাঠায় নবান্ন। এক সপ্তাহ পরেও ওই রাজ্যগুলোর তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: মনোনয়নপর্বে অশান্তি নিয়ে ট্যুইট যুদ্ধে সুজন-অভিষেক

এদিকে রাজ্যে একদফায় পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এ নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কাও খেতে হয়েছে কমিশনকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত না করেই কেন ভোটের দিন ঘোষণা করা হল, সে নিয়ে সেদিন প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।কোনওরকম ‘হোমওয়ার্ক’ না করেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিল আদালত।বরাবরই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি জানিয়ে এসেছে বিরোধীরা। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ দিয়েই ভোট করাতে চায় মমতা সরকার। রাজ্যের হাতে যে সংখ্যক পুলিশ রয়েছে, তা দিয়ে একদফায় পঞ্চায়েত ভোট করানো কার্যত অসম্ভব বলেই মত বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে নাকি অন্য রাজ্যের পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে হবে বলে জানিয়েছে বিরোধীদের একাংশ। ভোটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

panchayat vote kolkata highcourt
Advertisment