যত দিন গড়াচ্ছে, ততই জম্মু-কাশ্মীরে অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এবার সে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোট বয়কট করার ডাক দিল পিডিপি। রাজ্যের আরেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের পর এবার আসন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিল মেহেবুবা মুফতির দল। ভারতীয় সংবিধানের বিতর্কিত ৩৫এ অনুচ্ছেদ নিয়ে সুরাহা না হওয়াতেই সে রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পিডিপি-র তরফে জানানো হয়েছে।
এদিন পিডিপি প্রেসিডেন্ট মেহেবুবা মুফতি বলেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ভোট থেকে দূরে থাকব। এ নিয়ে দলের অন্দরে সর্বসম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সে রাজ্যে পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোট করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে পুনর্বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে পিডিপি-র তরফে।
গত বুধবারই জম্মু-কাশ্মীরে আসন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোট বয়কটের ডাক দেয় ন্যাশনাল কনফারেন্স। ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট ফারুক আবদুল্লা বলেছিলেন, "৩৫এ অনুচ্ছেদ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করে তবে নির্বাচনে অংশ নেবে না ন্যাশনাল কনফারেন্স।" রাজ্যে পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ফারুক আবদুল্লা। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন, জম্মু-কাশ্মীরে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি ন্যাশনাল কনফারেন্সের
আগামী মাসের পয়লা তারিখ থেকেই পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট শুরু জম্মু-কাশ্মীরে। অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত চার দফায় পুরসভার ভোট হওয়ার কথা সে রাজ্যে। অন্যদিকে, নভেম্বর মাসের ৮ তারিখ থেকে ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত আট দফায় পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নীচু স্তরের কর্মীদের চাপে পড়েই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি। কংগ্রেস ও বিজেপি-রও কর্মীরা ভোট বয়কটের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর। উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি ভোটের জন্য উপযুক্ত নয় বলেই দাবি ওই কর্মীদের।