অযোধ্যা মামলার পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের তৃতীয় বিচারপতি আবদুল নজির অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছেন। তারপর থেকে এই মামলার বিচারপতিদের অবসরের পর বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া নিয়ে দেশজুড়ে জল্পনা তুঙ্গে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, প্রাক্তন বিচারপতি নাজিরের এই নিযুক্তি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত।
এই একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ করার সময়ও। ২০২০ সালের ১৯ মার্চ, প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হন। তিনি অযোধ্যা মামলায় পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের প্রধান ছিলেন। অবসরের চার মাসের মধ্যেই প্রাক্তন বিচারপতি গগৈকে রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য করা হয়েছিল।
গগৈ যখন রাজ্যসভার সদস্য পদে শপথবাক্য পাঠ করছেন, সেই সময় বিরোধীরা 'লজ্জা লজ্জা' বলে সভার মধ্যেই চিৎকার জুড়েছিল। শুধু বিরোধীরাই নন। সেই সময় গগৈয়ের মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদের একাংশও। তারপর থেকে প্রায় তিন বছর হতে চলল প্রাক্তন বিচারপতি গগৈ রাজ্যসভার সাংসদ। এবার, সেই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেই তাঁর পারফরম্যান্স বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে।
কারণ, রাজ্যসভার পরিসংখ্যান বলছে, তিনি সংসদে এখনও পর্যন্ত একটাও প্রশ্ন করেননি। তিনি সংসদে কোনও প্রাইভেট মেম্বার বিল আনেননি। কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব, তাতেও অংশগ্রহণ করেননি। তারপরও তিনি বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় বিষয়ক কমিটির সদস্য। অথচ, যে সংসদের দৌলতে তিনি এতকিছু, দিনের পর দিন সেই রাজ্যসভায় হামেশাই কামাই করেন প্রাক্তন বিচারপতি গগৈ। রাজ্যসভায় তাঁর উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন- মিশন ২০২৪: বিরোধীদের একজোট করতে নীতীশের সঙ্গে তাল ঠুকছেন তেজস্বী
রাজ্যসভার নথি বলছে, বিচারপতি গগৈ ২০২০ সালের বাজেট অধিবেশনে এসেছিলেন ২ দিন। ২০২১ সালের বাজেট অধিবেশনে ১ দিন। ২০২২ সালের বাজেট অধিবেশনে এসেছিলেন ৭ দিন। এবছর বাজেট অধিবেশনে এসেছেন ৬ দিন। তিনি ২০২১ সালের বাদল অধিবেশনে এসেছেন একদিন। ২০২২ সালের বাদল অধিবেশনে এসেছেন ৬ দিন।
Read full story in English