কেন্দ্রীয় সরকার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার কয়েক ঘণ্টা পরে, পিএফআই কর্তারা বুধবার তাঁদের সংগঠনটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এক বিবৃতিতে, কেরলে পিএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এ আবদুল সাত্তার জানিয়েছেন যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (এমএইচএ) নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারির পরই সংগঠনটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'দেশের আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।'
সাত্তার আরও বলেন, 'পিএফআই গত তিন দশক ধরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র এবং প্রান্তিক শ্রেণীর আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষমতায়নের জন্য একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু, আমাদের মহান দেশের আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে সংগঠনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। এই সংগঠন তার সমস্ত প্রাক্তন সদস্য এবং সাধারণ জনগণকে জানাচ্ছে যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সমস্ত সদস্যকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- ‘পিএফআই নিষিদ্ধ হলে আরএসএস কেন নয়?’, প্রশ্ন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর, আরও পদক্ষেপের দাবি বামেদের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বুধবার সকালে PFI এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (RIF) এবং ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াও। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআই-সহ তার সমস্ত সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ, পিএফআই সংগঠন ও তার সহযোগীরা মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের জঙ্গিপনায় মদত দেয়। পাশাপাশি, তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ গ্রহণেও সহায়তা করে থাকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে পাঁচ দিনের মধ্যে দু'বার দেশজুড়ে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে পিএফআইয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন এনআইএর তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, বিভিন্ন পিএফআইয়ের নেতাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নথিপত্র। পাশাপাশি, দেশজুড়ে হাজারেরও বেশি পিএফআই সমর্থককে আটক এবং গ্রেফতার করা হয়েছে।
Read full story in English