Advertisment

'কোনও ভারতীয়র চিন্তা নেই, কায়েমী স্বার্থান্বেষীরা বিক্ষোভে শামিল'

'ভাগাভাগি ও ঝামেলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কায়েমী স্বার্থান্বেষীদের কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না।' আন্দোলনকারীদের সোমবার টুইট করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pm modi, মোদী

নরেন্দ্র মোদী।

'ভাগাভাগি ও ঝামেলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কায়েমী স্বার্থান্বেষীদের কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না।' আন্দোলনকারীদের সোমবার টুইট করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

Advertisment

আরও পড়ুন: দেশকে সহিংসতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার, সুর চড়ালেন সোনিয়া, প্রিয়াঙ্কা

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চরম বিরোধিতা। বিক্ষোভে উত্তপ্ত উত্তর পূর্ব ভারত। তারই আঁচ লেগেছে রাজধানীতে। রবিবার সিএএ বিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দিল্লিতে। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুদের আন্দোলন থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভকারীদের দমনে পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে লাঠি চার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিনা অনুমতিতে পুলিশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিন্দা করেছে কর্তৃপক্ষ। জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর পুলিশের আচরণ নাগরিকত্ব বিরোধী আন্দোলনে নয়া মাত্রা যোগ করে। জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন জানায়, জেএনইউ। এছাড়াও সমর্থনের কথা বলেছে কানপুর, বম্বে ও মাদ্রাজের আইআইটির পড়ুয়ারা। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ যে সহজে কমার নয় তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। সোমবার সিএএ-এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই পরিস্থিকে 'দুর্ভাগ্যজনক' ও প্রবল 'পীড়াদায়ক' বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'গণতন্ত্রে বিতর্ক, আলোচনা ও মতপার্থক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পত্তিহানি, জনজীবন ব্যবহত করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নীতি হতে পারে না।' প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ধর্মের ভিত্তিতে কোনও ভারতীয়র উপরই কোনও প্রভাব ফেলবে না। টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, 'এই আইনে কারোর কোনও চিন্তা নেই। এই আইনের মাধ্যমে তাদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে যারা বহুদিন আগে এদেশে এসেছেন এবং তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।' এছাড়া, 'সময়ের দাবি মেনে ভারতের প্রান্তিক, দরিদ্র মানুষের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সবাইকার একত্রিত হওয়া উচিত' বলে টুইটে লিখেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘আমার সরকার ফেলতে হলে ফেলে দিন’, চরম বার্তা মমতার

তবে, দেশজুড়ে বিক্ষোভের জন্য মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধিরা। জামিয়ায় পুলিশের লাঠি চালনার নিন্দায় মুখর হতে দেখা যায় কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ ও সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে।

কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন। তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেলে কী করে পুলিশ প্রবেশ করতে পারে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর।' বিক্ষোভ দমনে মোদী সরকারের এটা ষড়যন্ত্র বলে দাবি তাঁর। সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, 'দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। তাই পুলিশি পদক্ষেপের জন্য দায় নিতে হবে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।'

Read  the full story in English

PM Narendra Modi Citizenship Amendment Act
Advertisment