নাগরিগত্ব বিলকে সমর্থন জানানোর জন্য মমতা সরকারকে আহ্বান জানালেন মোদী। ঠাকুরনগরের সভা থেকে মোদী বললেন, ‘‘নাগরিকত্ব বিলকে সমর্থন করুন আপনারা। এই বিলটি আমাদের ভাই-বোনদের জন্য খুব জরুরি। সংসদে এই বিলকে সমর্থন জানান আপানারা।’’ এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘টুকরো হওয়ার পর স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ। নিজের ভিটে ছেড়ে অন্যত্র যেতে হয়েছে অনেককে। তাঁদেরকে কি সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে দেওয়া যায় না?’’ উল্লেখ্য, ঠাকুরনগরের সভায় নাগরিকত্ব বিলের প্রসঙ্গ টানতে পারেন মোদী, এ নিয়ে চর্চা চলছিলই। নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা জানিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠাকুরনগরের সভায় মোদীর কাট-আউট। ছবি: শশী ঘোষ।
এর আগেও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে এ রাজ্যে এসে আওয়াজ তুলেছেন অমিত শাহ। বিজেপি সভাপতির পর মোদীও এদিন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সরব হলেন ঠাকুরনগরের সভায়। সীমান্তবর্তী এলাকায় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মোদীর বক্তব্য রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন, তৃণমূল এখন ট্রিপল টি-তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স: মোদী
অন্যদিকে, ঠাকুরনগরের সভা থেকে আবারও মমতাকে টার্গেট করলেন মোদী। এদিন সভার শুরুতেই ভিড় দেখে মোদী কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘এত ভিড় দেখে বুঝতে পারছি, মমতা কেন ভয় পাচ্ছেন।’’ এরপরই মমতাকে বিঁধে জনতার উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে কেউ মাথা ঘামাননি। যতটা নজর দেওয়ার দরকার ছিল, ততটা দেওয়া হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে হাল আরও খারাপ। তবে নয়া ভারতে এই পরিস্থিতি বদলাবে। গত সাড়ে ৪ বছর ধরে আমরা এই পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা চালাচ্ছি।’’
ঠাকুরনগরে মোদী। ছবি: জয়প্রকাশ দাস।
আরও পড়ুন, জল্পনার অবসান! বড়মার সঙ্গে দেখা করলেন মোদী
ঠাকুরনগরের সভায় তাঁর সরকারের কৃষকদরদী ভাবমূর্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গতকাল বাজেটে কৃষকদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। ছোট কৃষক, শ্রমিকদের অর্থ সাহায্য করছে সরকার। মধ্যবিত্তরা উপকৃত হয়েছেন। আগেই বলেছি, এই বাজেট একটা শুরু, ভোটের পর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে, তখন কৃষক, শ্রমিকদের জন্য আরও অনেক কিছু করবে সরকার।’’
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে মোদী বলেন, ‘‘এবার থেকে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকবে। কোনও সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগবে না। কোনও দালাল-রাজ চলবে না। গণতন্ত্রকে বাঁচানোর নাটক করছে তৃণমূল।’’
মোদীর ঠাকুরনগরের সভায় বিশৃঙ্খলা। ছবি: শশী ঘোষ।
এদিনের সভায় কংগ্রেসকেও একহাত নেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঋণ মকুবের নামে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে কংগ্রেস। কর্নাটকে পুলিশ লাগানো হচ্ছে। কংগ্রেসের এই নীতিকে সমর্থন করছে তৃণমূল। নির্দোষদের হত্যা করা হচ্ছে।’’
অন্যদিকে, মোদীর সভা চলাকালীনই এদিন সভাস্থলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বিশৃঙ্খলার জেরে কয়েকজন আহত হন বলেও খবর। এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের সভায় মোদী বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষমা চাইছি। আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’’