'কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমা ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেন, কাশ্মীরে পণ্ডিতদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই সত্য গোপন করারও চেষ্টা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে কেউ কেউ সেই সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন বলে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন। যাঁরা এই চেষ্টা করছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদদের কাছে আবেদন করেন মোদী। বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই তিনি এসব কথা বলেন। মোদীর অভিযোগ, কাশ্মীর ইস্যুতে যাঁরাই সঠিক পথে চলতে চেয়েছেন, তাঁদেরই বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকী, মহাত্মা গান্ধীর স্বীকৃতিকেও গ্রাহ্য করা হয়নি।
বিবেক অগ্নিহোত্রী লিখিত ও পরিচালিত, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিতে পণ্ডিতদের কাশ্মীর ত্যাগের পটভূমি নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে এই ছবি আলোড়ন ফেলেছে। ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, দর্শন কুমার, পল্লবী জোশীর মতো তারকারা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে কোনও সিনেমা নিয়ে মুখ খুলতে না-দেখা গেলেও মঙ্গলবার তিনি সেই রীতি ভঙ্গ করেন। মোদী দাবি করেন, এই সিনেমায় সঠিক ইতিহাসকে সময় অনুযায়ী তুলে ধরা হয়েছে। যেভাবে গদ্য, সাহিত্য, নাটক, সত্যকে সমাজের সামনে তুলে ধরতে পারে, এখানেও তেমনটাই ঘটেছে। আর সেটা করেছে সিনেমা।
আরও পড়ুন- ‘হিজাব অপরিহার্য অনুশীলন নয়’, আদালতের রায়ে ‘হতাশ’ দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে আমরা মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলার সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর নাম অতটা শুনিনি। কেউ কি গান্ধীকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন? যখন কোনও বিদেশি গান্ধীকে নিয়ে ছবি করলেন, তাঁর সেই ছবি পুরস্কার পেল, তখন গোটা বিশ্ব জানতে পারল যে, গান্ধি কতটা মহান ছিলেন।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'অনেকেই বক্তব্যের স্বাধীনতা নিয়ে সুর চড়ান। কিন্তু, কখনও দেশে জরুরি অবস্থা নিয়ে কোনও সিনেমা হয়েছে? হয়নি কারণ সত্যকে ধারাবাহিকভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।' তেমনই চাপা থাকা সত্যকেই তুলে ধরেছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'। সেই জন্য, যাঁরা এই সত্যকে প্রকাশ করেছেন, তাঁদের পাশে থাকতে বিজেপি সাংসদদের কাছে আহ্বান জানান মোদী।
Read story in English