জন্মদিনে সূদূর নামিবিয়া থেকে আনা চিতা জঙ্গলে ছেড়ে শনিবার দিনভর চর্চায় থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ ৭০ বছর পর ভারতে চিতার আগমন কেন্দ্রের তরফেও ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। কোটি-কোটি টাকা খরচ করে ৮টি চিতা আনা হয়েছে দেশে। তবে কেন্দ্রের এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনায় সরব কংগ্রেস। ''চিতা আনার বদলে দেশে নিত্যসামগ্রীর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের মতো জ্বলন্ত সমস্যাগুলির দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রের'', মোদীকে তুলোধনা করে এমনই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
'ভারত জোড়ো' যাত্রা কর্মসূচির অধীনে কেরলে এক জনসভায় রাহুল বলেন, ''কেন্দ্র পরিকল্পনা করেই ছোট, মাঝারি ব্যবসায়ী, কৃষক এবং শ্রমিকদের উপর আক্রমণ করছে।'' নমোর জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে চিতা ছাড়া নিয়েও কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ''এটা অযৌক্তিক। দেশের সমস্যা হল বেকারত্ব এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। প্রধানমন্ত্রী চিতাকে বনে ছেড়ে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা মেটাতে আগ্রহী নন। চিতার ছবি তুলতেই ব্যস্ত তিনি।''
আরও পড়ুন- ৭০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান! চিতা ছেড়েই পরিবেশ রক্ষার বার্তা মোদীর
এদিকে, কলকাতায় দলের 'ভারত জোড়ো' যাত্রার সমর্থনে প্রচারে এসেও মোদীর চিতা ছাড়া নিয়ে বেনজির কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। মোদীর এই পদক্ষেপকে 'তামাশা' বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। ''কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার সফলতা থেকে দেশবাসীর মনযোগ ঘোরাতেই জঙ্গলে চিতা ছাড়ার কৌশল নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী'', এমনই দাবি এই কংগ্রেস নেতার।
কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো' যাত্রা দারুণ সফল বলে দাবি করেছেন জয়রাম রমেশ। তাঁর কথায়, "ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর পর ১০ দিন কেটেছে। আমরা যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি তা দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে যে এই কর্মসূচি অত্যন্ত সফল হতে চলেছে।'' কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ''আমাদের এই কর্মসূচি বিজেপিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।''