ইন্দোরে পুর আধিকারিককে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়য়ের পুত্র আকাশ। এ ঘটনায় এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘দুর্ব্যবহার করে দলের নাম খারাপ করলে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না’’, দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ ভাষাতেই বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে মোদী এমন বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয়ের উদ্দেশেই মোদীর এহেন বার্তা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ রাজীবপ্রতাপ রুডি জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কারও দুর্ব্যবহারে যদি দলের মাথা হেঁট হয় তা বরদাস্ত করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন যে, এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। উনি দলের সব সদস্যকেই এ ব্যাপারে বার্তা দিয়েছেন। ’’
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্ত কৈলাশ-পুত্র, ‘দুঃখিত’ নন, তবে ‘গান্ধী’ আদর্শেই চলতে চান
উল্লেখ্য, ইন্দোরের একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র পুত্র আকাশ বিজয়বর্গীয়র বিধানসভা এলাকাতে অভিযান চালায় স্থানীয় পুরসভা। আসন্ন বর্ষার কথা মাথায় রেখেই এলাকার এক বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু এই বিপজ্জনক বেআইনি নির্মাণ ‘রক্ষা করতে’ই ব্যাট হাতে এগিয়ে আসেন মারমুখী বিজেপি বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয়। হুমকির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “১০ মিনিটের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে ফল ভালো হবে না”। এরপরই কর্তব্যরত আধিকারিক ধীরেন্দ্র ব্যাসকে মারধর করেন আকাশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয় দেশ এবং গ্রেফতার হন আকাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর অবশ্য দাবি তিনি দুর্নীতির বিরোধিতা করতে এবং সেই সময় মহিলাদের প্রতি দুর্ব্যবহার রুখতেই সেখানে গিয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্ত হন আকাশ।
আরও পড়ুন: ছেলেকে ‘কাঁচা খেলোয়াড়’ বললেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
তবে তিনি যে এ ঘটনায় একেবারেই অনুতপ্ত নন, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আকাশের মন্তব্যেই স্পষ্ট। ছাড়া পাওয়ার পর বিজয়বর্গীয়-পুত্র বলেন, তিনি যে ‘কাজ’টি করেছেন তার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন। তবে এখন থেকে গান্ধীজির আদর্শে মেনে চলার চেষ্টা করবেন। এদিকে, এ ঘটনায় আকাশ পুত্র তথা বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কোনো তরফই সঠিকভাবে ঘটনাটির মোকাবিলা করতে পারেনি। আকাশ এবং পুরসভার আধিকারিক দুজনেই কাঁচা খেলোয়াড়। এটা এমন কিছু বড় ঘটনা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে একে বড় করা হয়েছে।”
Read the full story in English