Advertisment

মোদীকে 'ডরপোক' বললেন রাহুল, দ্বৈরথের চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রীকে

“পাঁচ বছর ধরে সঙ্গে লড়াই চালানোর পর আমি ওঁর (মোদীর) চরিত্র জেনে গিয়েছি। উনি ভীতু। কেউ যদি ওঁর মুখোমুখি দাঁড়ায়, তাহলে উনি দৌড়ে পালান।“

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rahul gandhi

১০ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে বিতর্কে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি (ফাইল)

১০ মিনিট তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি তর্কে বসুন ডরপোক মোদী। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এ ভাষাতেই আক্রমণ শাণালেন বৃহস্পতিবার। এআইসিসি সংখ্যালঘু কনভেনশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল এদিন বলেন, হিন্দুত্ববাদী আরএসএস নাগপুরে বসে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে দেশ চালাতে চাইছে। রাহুল এদিন মোদীকে দ্বৈরথে আহ্বান করে বলেছেন, অর্থনীতি, রাফালে এবং জাতীয় নিরাপত্তার মত বিষয়ে তিনি বিতর্ক চান মোদীর সঙ্গে।

Advertisment

আরও পড়ুন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রথম উত্তর প্রদেশ সফরে সঙ্গী হবেন রাহুল

দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল এদিন বলেন, "এই নির্বাচনের যুদ্ধক্ষেত্র হল সংবিধান। আরএসএস নাগপুরে বসে দেশ চালাতে চাইছে। নরেন্দ্র মোদী তার মুখ, মোহন ভগবত তার রিমোট কন্ট্রোল।"



জনতার 'চৌকিদার চোর হ্যায়' নিনাদের মধ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল বলেন নরেন্দ্র মোদীর মুখে এখন ভয়ের চিহ্ন। “পাঁচ বছর ধরে সঙ্গে লড়াই চালানোর পর আমি ওঁর (মোদীর) চরিত্র জেনে গিয়েছি। উনি ভীতু। কেউ যদি ওঁর মুখোমুখি দাঁড়ায়, তাহলে উনি দৌড়ে পালান।“

রাহুল বলেন, প্রধান মন্ত্রী মোদীর ইমেজ শেষ। “৫ বছর আগে বলা হত, উনি ১৫ বছর দেশ চালাবেন। কংগ্রেস ওঁর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ভাবমূর্তি ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। উনি এখন জেনে গিয়েছেন, যে মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে ভারত শাসন করা যায় না।“

বিজেপি সম্প্রদায়গত বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। একই সঙ্গে এ দেশ গঠনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কতজন নেতা ভূমিকা রেখেছেন, তারও একটি তালিকা পেশ করেন তিনি।



রাহুল বলেন, "এ দেশ প্রতিটি মানুষের। এ লড়াই দুটি মতাদর্শের। দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, সুতরাং আজ যদি শিক্ষা নিয়ে কথা বলতে হয়, তাহলে প্রথমে তাঁকে ধন্যবাদ দিতে হবে। বিক্রম সারাভাই, মনমোহন সিং, মানেকশ, এঁরা সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তাঁরা এ দেশ গঠনে সহায়তা করেছেন।"

আরএসএসের দিকে নিশানা করে রাহুল বলেন, এরা বিচারবিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশন, সমস্ত প্রতিষ্ঠানের দখল নিতে চাইছে। তিনি বলেন, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস সরকার প্রশাসন থেকে আরএসএসের ধামাধরাদের সরিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, "ভারতের কোনও প্রতিষ্ঠান কোনও দলের সম্পত্তি নয়, তারা দেশের প্রতিষ্ঠান, এবং কংগ্রেস হক বা অন্য যে কেউ, এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। ওরা (বিজেপি) ভাবে ওরা দেশের উপরে। তিন মাসের মধ্যে ওরা বুঝবে দেশ ওদের উপরে।"

CONGRESS rahul gandhi lok sabha 2019 PM Narendra Modi
Advertisment