কেন্দ্রীয় সরকারের ১২ বছর বা তার কম মেয়েদের ধর্ষণের মামলায় ফাঁসির সাজার অর্ডিন্যান্স জারির পর আরও একবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন বর্তমান দিল্লি সরকার জনগণের কথা শোনে এবং সেইমত সিদ্ধান্ত নেন।
মোদি বলেন, প্রতিটি পরিবারের উচিৎ তাঁদের মেয়েদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া এবং ছেলেদের আদর্শ শিক্ষা দেওয়া। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি পরিবারকে তাঁদের বাড়িতে একটি সুস্থ আবহ গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই একটি সোশ্যাল ক্যাম্পেন শুরু করবে এবং জনগনকে অনুরোধ করেন তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনা শেখাতে।
আরও পড়ুন, অর্ডিন্যান্সে সম্মতি রাষ্ট্রপতির
মধ্যপ্রদেশের রামনগরের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন যে, দেশের মেয়েদেরকে ধর্ষণ করলে অপরাধীদের এবার ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় ঘটনা রুখতে তাঁর সরকার যে কঠোর পদক্ষেপ করছে সেদিকে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, কাস্টিং কাউচ! দেশের দুই বিখ্যাত নারীর জোড়া মন্তব্যে বিতর্ক
কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনার পর থেকেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আরও প্রকট হয়। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, সর্বত্রই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অন্যদিকে এ ঘটনায় কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। যা নিয়ে বিরোধীদের নানা বাক্যবাণ শুনতে হয় তাঁকে। অবশেষে বেশ কিছুদিন পর, কাঠুয়ার ঘটনা নিয়ে নিজের নীরবতা ভাঙেন মোদি। দেশের মেয়েরা যে বিচার পাবে, সে ব্যাপারে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি, অপরাধীদের কাউকেই যে রেয়াত করা হবে না, সে ব্যাপারেও কড়া বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। কাঠুয়ার ঘটনা নিয়ে বিদেশেও সরব হন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ঘটনা বিদেশে বলা নিয়ে মোদিকে তুলোধনা করে এনডিএ শরিক শিবসেনা।
আরও পড়ুন, মোদি শুধু নিজের পদ নিয়েই ব্যস্ত, ফের প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা রাহুলের
দেশজুড়ে যখন কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনায় প্রতিবাদের ছবি উঠে আসছে রোজ, ঠিক সেসময়ই ধর্ষণের মতো শাস্তির সাজা নিয়ে আইনে রদবদল করার দিকে এগোল মোদি সরকার। ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী মেয়েদেরকে ধর্ষণ করলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধান দেওয়া অর্ডিন্যান্সে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পরের দিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই অর্ডিন্যান্সে সম্মতি দেন।