প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গরিব মানুষ পাকা বাড়ি পেয়ে 'লাখপতি' হয়েছেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। একইভাবে মহিলাদের নামে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি হওয়ায় তাঁরাও হয়েছেন 'মালকিন'। কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বুধবার এমনই বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গতকালই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। 'বাজেটে উন্নয়নমুখী ভাবনার ছাপ স্পষ্ট' গতকালই এই মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকী তিনি আরও বলেন, 'এই বাজেট অর্থ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করবে, নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। যুবদের ভবিষ্যত উজ্বল হবে। বাজেটে উন্নয়নমুখী ভাবনার প্রতিফলন।''
কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে বুধবার দলের কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ হয়েছিল মোদীর। সেই আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ''কোভিড মহামারীর পরে নতুন বিশ্বে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আজ বিশ্বের কাছে ভারতকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বদলে গেছে। এখন, বিশ্ব একটি শক্তিশালী ভারত দেখতে চায়।''
তিনি আরও বলেন, "আমাদের জন্য একটি আত্মনির্ভরশীল এবং আধুনিক ভারত তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বাজেটে ভারতকে আধুনিকতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান রয়েছে। গত ৭ বছরে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির কারণে ভারতের অর্থনীতি ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- ‘কংগ্রেসের টিকিটে জিতেই যোগ বিজেপিতে, গোয়ায় নয়া কৌশল গেরুয়ার’, তোপ কেজরির
এরই পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে দেওয়া বাড়িগুলি গরিবদের "লাখপতি" বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ''গত ৭ বছরে আমরা ৩ কোটি গরিব মানুষকে পাকা বাড়ি দিয়েছি। লাখপতি বানিয়েছি। যাঁরা বস্তিতে থাকতেন, তাঁদের নিজস্ব বাড়ি আছে। আমাদের সরকার এসব বাড়ির দাম ও আকার বাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ বাড়িই মহিলাদের নামে। আমরা মহিলাদের "মালকিন" (মালিক) বানিয়েছি।"
উল্লেখ্য, গতকাল কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এবারের বাজেটে আয়কর কাঠামোয় কোনও বদল আনা হয়নি। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমাও বাড়েনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন গতকাল রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যও সুখবর শুনিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সমতা রেখে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে জমানো অর্থের উপর কর ছাড়ের সীমা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন সীতারমন।
Read story in English