২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। শরিক দলগুলির থেকে অনেক বেশি আসন পেয়ে কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। ওই বছরই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে মহা-নাটক দেখেছিল দেশবাসী। বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছে শিবসেনা।
ভোটের দু বছর পর বোমা ফাটালেন শরদ পওয়ার। বুধবার এনসিপি সুপ্রিমো দাবি করেছেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দলের সঙ্গে জোট করার জন্য মরিয়া ছিলেন মোদী। কিন্তু সেই জোটের পক্ষে ছিলেন না পওয়ার। তাই পত্রপাঠ না করে দেন মোদীকে। বলে দেন, "এটা সম্ভব নয়।"
এদিন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গ্রুপের লোকসত্তা সংবাদপত্রের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে পওয়ার বলেন, "এটা সত্যি যে দুই দলের মধ্যে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জোটের পক্ষে সওয়াল করে ভাবতে বলেছিলেন। যদিও আমি তাঁকে তাঁর অফিসেই স্পষ্ট বলে দিই এটা সম্ভব নয়। আমি তাঁদের অন্ধকারে রাখতে চাইনি বলেই পরিষ্কার না করে দিই।"
আরও পড়ুন ‘পরিশ্রমী এবং যুক্তিবাদী নেতা প্রধানমন্ত্রী’, শরদ পাওয়ারের মুখে মোদি-বন্দনা
পওয়ার লোকসত্তার সম্পাদক গিরিশ কুবেরকে তাঁর রাজনৈতিক এবং সামাজিক যাত্রা নিয়ে গত ৫০ বছরের স্মৃতি নিয়ে বলছিলেন। তিনি স্বীকার করেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি একটি বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন, যে বিজেপিকে সমর্থন করার কথা ভাবছে এনসিপি। এটাই পরে শিবসেনার মধ্যে সন্দেহ জাগায় এবং তার ফলে তারা এগিয়ে এসে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট করে।
আরও পড়ুন পরিস্থিতি এখনও ‘উদ্বেগজনক’, নাগাল্যান্ডে AFSPA-র মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াল কেন্দ্র
তাহলে কি তিনিই নিজের ভাইপো অজিত পওয়ারকে দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের কাছে পাঠিয়েছিলেন সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে? সেই প্রসঙ্গে শরদ বলেন, "আমি যদি অজিতকে বিজেপির কাছে পাঠাতাম তাহলে আমি অসম্পূর্ণ কাজ ফেলে রাখতাম না।" তাঁর কথায়, বিজেপিও এনসিপির সঙ্গে জোটের পথে এগোচ্ছিল। কংগ্রেস সেই সময় পিছিয়ে ছিল।