নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় জ্বলছে ত্রিপুরা, খুন সিপিএম সমর্থক

প্রতিবাদে পথঅবরোধ করে পালটা বিক্ষোভ সিপিএম সমর্থকদের।

প্রতিবাদে পথঅবরোধ করে পালটা বিক্ষোভ সিপিএম সমর্থকদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CPM Tripura

নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় জ্বলছে ত্রিপুরা। টানা তিন দিন ধরে অশান্ত এই পার্বত্য রাজ্য। বৃহস্পতিবারই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। আর, ভোট মিটতেই শুরু হয়েছে অশান্তি। বেছে বেছে বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই রবিবার খুন হলেন এক সিপিএম সমর্থক। নিহত ব্যক্তির নাম দিলীপ শুক্লা দাস। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী আগরতলা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে খোয়াই জেলায়। সিপিএমের অভিযোগ, এখানকার তেলিয়ামুড়া এলাকার বাগানবাজার গ্রামে তাঁদের দলের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের দলের ওই সমর্থক।

Advertisment

নিহতের ছেলে বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরেই কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক। এলাকার সবাই সেকথা জানতেন। দিলীপবাবু শনিবার রাতে বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ। তিনি বলেন, 'হামলাকারীরা বিজেপির লোক। তার মধ্যে একজন আবার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। রাতে বাড়ি ফেরার সময় বাবাকে বেধড়ক মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। রাস্তা থেকে বাবাকে তুলে লোকাল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। অবস্থা খুব খারাপ থাকায় সেখান থেকে আগরতলার জিবিপি (গোবিন্দবল্লভ পন্থ) হাসপাতালে রেফার করে দিল। রবিবার জিবিপি হাসপাতালেই মারা গেছে।'

ঘটনায় পুলিশের কাছে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নিহতের পরিবারের সদস্য এবং সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁরা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। প্রাথমিক তদন্ত এবং নিহতের পরিবারের সদস্যদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কমলকৃষ্ণ দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, আটক করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর কমলকৃষ্ণ দাস দারিকাপুর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। দিলীপ দাসের ওপর হামলায় তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।

আরও পড়ুন- লক্ষ্য লোকসভা, বিরোধী জোটে কংগ্রেসের জায়গা কোথায়, নীতীশকে মনে করালেন জয়রাম

Advertisment

তবে, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দিতে নারাজ খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার রতিরঞ্জন দেবনাথ। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টিকে অযথা রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'এটা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝামেলার ব্যাপার। আমরা প্রাথমিক তদন্তের পর ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলছে।' কিন্তু, পুলিশ সুপারের দাবি মানতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। প্রতিবাদে তাঁরা আগরতলায় জিবিপি হাসপাতালের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন।

Read full story in English

Death Election Clash tripura