তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা নস্যাৎ করলেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। এ দিন বেলা বাড়তেই মুকুলের তৃণমূল যোগের চর্চা চরমে পৌছায়। সেই সঙ্গেই শোনা যায় যে কংগ্রেস নেতা তথা প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎও জোড়া-ফুলে যোগ দান করতে পারেন। কিন্তু, মুকুল তৃণমূলে যোগ দিলেও অভিজিৎবাবু সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। সাফ জানিয়েছেন, বন্ধু জতীন প্রসাদার মতো তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার কোনও বাসনা নেই.
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এক সাক্ষাৎকারে ফোনে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি এখনও কংগ্রেসে রয়েছি। খবর রটেছে যে আমি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি। এটা ঠিক নয়।' বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করেছেন লোকসভার প্রাক্তন এই সাংসদ।
আরও পড়ুন- নির্বাচনে মুকুল আমাদের দল বিরোধী কথা বলেনি: মমতা
সাক্ষাৎকারের সময় এদিন দুপুরে কিছুটা রসিকতার সুরেই অভিজিৎবাবু বলেছেন, 'বর্তমানে আমি তৃণমূল ভবন থেকে ৩০০ কিমি দূরে জঙ্গিপুরে রয়েছি। সুতরাং টেলিপোর্ট করা ছাড়া আমার পক্ষে বিকেলের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাওয়া অসম্ভব।' প্রণব-পুত্রের দাবি, একদা আমার বাবার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত এক নেতা বর্তমানে তৃণমূল করেন। দিন কয়েক আগেই তিনি আমার বাড়িতে এসে চা পান করেছেন। সেই সূত্রেই হয়তো অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের তৃণমূল যোগের জল্পনা তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ যথাক্রমে খলিলুর রহমান এবং আবু তাহের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী আকরুজ্জামান ও সাবিনা ইয়াসমিনও।
আরও পড়ুন- ‘দলে ফিরে মুকুল মানসিক শান্তি পেল’, বললেন মমতা
প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের দাবি, 'এঁরা সবাই আমার দীর্ঘ দিনের পরিচিত। এঁরা আমার বাবারও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফলে এঁদের সঙ্গে দেখা অথবা কথা বললেই তৃণমূলে যোগ দেব এ কথা ভেবে নেওয়া সত্যিই বাতুলতা।'
অভিজিৎবাবুর কথায়, ২০০৪ ও ২০০৯ সালে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেই সময় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যায়, সেনানিবাস, ম্যানেজমেন্ট কলেজ সহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ জঙ্গিপুর লোকসভা এলাকায় শুরু হয়েছিল। যা বর্তমানে বাস্তবের মুখ দেখার অপেক্ষায়। জঙ্গিপুরের সাংসদ হয়ে ওইসব প্রকল্পের দেখাশুনো করছেন অভিজিৎও। রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ ও মন্ত্রীদের সঙ্গে এইসব প্রকল্প নিয়েই তাঁর কথা হয়েছে। এতে অন্যকিছুর সূত্র খোঁজা ভুল হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন