Udaipur City Palace Controversy: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজস্থান সফরকালীন সময়ে ৩ রা অক্টোবর সুখদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম সমাবর্তনে অংশ নেন। এরপর তিনি সিটি প্যালেসও পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল ও উপমুখ্যমন্ত্রী। তার এই সফর নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রাজসামন্দের বিজেপি সাংসদ মহিমা কুমারী এবং নাথদ্বারা বিধায়ক বিশ্বরাজ সিং মেবার।
বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক সহ মেবারের রাজপরিবারের কয়েকজন সদস্য, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদয়পুরের সিটি প্যালেসে সাম্প্রতিক সফর নিয়ে আপত্তি জানান। সাংসদ ও বিধায়কের তরফে চিঠিতে বলা হয় সিটি প্যালেস বর্তমানে একটি বিতর্কিত জায়গা। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তাঁদের তরফে বলা হয়, কর্মকর্তাদের চিঠির মাধ্যমে সমস্ত প্রটোকল সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তারপরও রাষ্ট্রপতির এখানে আসা ওনার মর্যাদার পরিপন্থী। কারণ ওই সম্পত্তির পরিবারের প্রধানকে না জানিয়ে নির্দিষ্ট কিছু সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসা সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তাঁর এই সফর থেকে বিরত থাকা উচিত ছিল। কারণ বর্তমানে সম্পত্তিটি মামলার অধীনে রয়েছে। ৩ অক্টোবর, রাষ্ট্রপতি মুর্মু উদয়পুরের মোহনলাল সুখদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম সমাবর্তনে যোগ দেন। পাশাপাশি উদয়পুর প্রাসাদেও আসেন। এবিষয়ে উদয়পুরের জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার বলেছেন, "এটি রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সফর। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও মন্তব্য চাওয়া হয়নি এবং জেলা প্রশাসনও কোন রিপোর্ট পাঠায়নি।"
হাসপাতালে ভর্তি প্রবীণ শিল্পপতি! কেমন আছেন রতন টাটা? বিরাট উদ্বেগে ভক্তরা
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) উদয়পুর প্রাসাদে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মেবারের প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্য ডক্টর লক্ষ্যরাজ সিং মেবারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে পৌঁছান। ডঃ লক্ষ্যরাজ সিং রাষ্ট্রপতিকে মেবারের ঐতিহ্য অনুসারে স্বাগত জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সঙ্গে ছিলেম রাজস্থানের রাজ্যপাল ও উপমুখ্যমন্ত্রী। প্রেমচাঁদ বৈরওয়া। রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি লিখে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন এবং উদয়পুর সফর কর্মসূচিতে সংশোধনের দাবি উত্থাপন করেছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্রপতি তার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সিটি প্যালেস পরিদর্শন করেন। বিশেষ বিষয় হল সাংসদ এবং বিধায়ক দুজনেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী। এছাড়াও তিনি মেওয়ারের প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্য। মেবার রাজপরিবারেরের সদস্য তথা বিধায়ক বিশ্বরাজ সিং মেবার বলেছেন যে রাষ্ট্রপতির কাছে সিটি প্যালেস ভ্রমণের অনুরোধ জানানো হয়। সেখানে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। সম্পত্তির কিছু অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও বিচারের আবেদন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাষ্ট্রপতি যদি তার পারিবারিক সম্পত্তিতে আসেন এবং বাড়ি ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা না করে চলে যান, তাহলে তা রাষ্ট্রপতির মর্যাদার পরিপন্থী।
মেবারের প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্য ডক্টর লক্ষ্যরাজ সিংয়ের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি সিটি প্যালেসে পৌঁছেছিলেন। আমরা আপনাকে বলি যে লক্ষ্যরাজ সিংয়ের স্ত্রী নিবৃত্তি কুমারী ওড়িশার প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্য। এ কারণে রাষ্ট্রপতি সিটি প্যালেস পরিদর্শন করেছেন। উভয়ের মধ্যে উদয়পুর ও ওড়িশার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং লক্ষ্যরাজ সিংয়ের স্ত্রী নিবৃত্তি কুমারী মূলত ওড়িশার বাসিন্দা। লক্ষ্যরাজ সিংয়ের শ্বশুর কনক বর্ধন সিং দেব বর্তমানে ওড়িশা সরকারের ডেপুটি সিএম এবং শাশুড়ি সঙ্গীতা কুমারী সিং দেব বালাঙ্গির লোকসভার সাংসদ।
মন্ডপজুড়ে বৃষ্টির 'টাপুর টুপুর' শব্দ, আলোআধারির খেলা, 'সেরার সেরা'র থিমে কলকাতার কোন পুজো?
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বৃহস্পতিবার উদয়পুর সফরের অংশ হিসাবে মোহনলাল সুখাদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ তম সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি উদয়পুরের প্রাক্তন রাজপরিবারের সিটি প্যালেসও পরিদর্শন করেন, যেখানে মেবারের প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্য ডঃ লক্ষ্যরাজ সিং মেবার এবং তাঁর স্ত্রী নিবৃত্তি কুমারী রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। মেবার রাজপরিবারের সদস্যরা, রাজসামন্দের সাংসদ মহিমা কুমারী এবং নাথদ্বারা বিধায়ক বিশ্বরাজ সিং মেবার উদয়পুর সিটি প্যালেসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ প্রাসাদটি একটি বিতর্কিত স্থান। এর সব প্রটোকল সম্পর্কে কর্মকর্তাদের জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদসত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি সেখানে গিয়েছিলেন, যা তার মর্যাদার পরিপন্থী কারণ পরিবারের প্রধানকে না জানিয়ে কিছু সদস্যের সঙ্গে দেখা করলে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁকে উদয়পুরে তার আগমনের সময়সূচী সংশোধন করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল, তবে রাষ্ট্রপতি তার পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুসারে সিটি প্যালেসে পৌঁছেছিলেন।