দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা প্রিয়াঙ্কাকে জানিয়েছিল, ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাসের সাহায্য নিয়ে তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা রাজধানী দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি জানাতে চাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার কাছ থেকে এই মেসেজ পেয়েছিলেন।"
আরও পড়ুন: পেগাসাস প্রস্তুতকারকের লাইসেন্স বাতিলের আবেদন জানানো হল ইজরায়েলের আদালতে
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময়ে বিজেপি সরকার বেশ কিছু মানুষের উপর নজরদারি করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুরজওয়ালা। একে হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইগেট আখ্যা দিয়ে টুইটও করেছেন তিনি।
সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, "সরকার কি ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত বেআইনি স্পাইওয়ার সম্পর্কে জানত? যারা ক্ষমতার চূড়ায় বসে রয়েছে, তারা ফৌজদারি অপরাধে দোষী।"
Layers of BJP Govt’s conspiracy & collusion in the illegal & unconstitutional hacking of cell phones through surveillance software ‘Pegasus’ are unraveling everyday.
BJP Govt is the deployer & executor of this illegal & unconstitutional snooping & spying racket.
Our Statement: pic.twitter.com/p5qbffgayC
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) November 3, 2019
কংগ্রেস নেতা আরও অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি এই স্পাইওয়ার কেবলমাত্র সরকারকেই বিক্রি করা হয়, অন্য কাউকে নয়।
তিনি বলেন, "এনএসও গ্রুপের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে ওই গোষ্ঠীর সমস্ত উৎপাদন কেবলমাত্র সরকারকে বিক্রি করা হয়। এনএসও গ্রুপ সিটিজেন ল্যাবকে স্পষ্ট জানিয়েছে, 'আমাদের প্রোডাক্ট কেবলমাত্র সরকার এবং আইন বলবৎকারী সংস্থাকে বিক্রি করার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত, এর একমাত্র উদ্দেশ্য হল অপরাধ ও সন্ত্রাসের তদন্ত করা ও তাকে আটকানো।' ফলে এ কথা স্পষ্ট ভারত সরকার এবং তাদের সংস্থা এই স্পাইওয়ার কিনেছে। কোনও বেসরকারি সংস্থার পক্ষে এ জিনিস কেনা বা কাজে লাগানো সম্ভব নয়।"
শনিবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: পেগাসাস হানা: সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রকে ১২১ জন আক্রান্তের কথা বলেছিল হোয়াটসঅ্যাপ
তিনি বলেন, "আপনার মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত তথ্য ওরা (হ্যাকাররা) নিয়ে নিতে পারে। এটা খুবই গুরুতর বিষয়। এটা গোপনীয়তার উপর আঘাত। আমরা কারও সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারব না।"
সরকার দাবি করেছে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবহিত ছিল না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। প্রযুক্তিমন্ত্রকের দেওয়া এক নোটিসের জবাবে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে এ ব্যাপারে সরকারকে তারা মে মাসেই জানিয়েছিল। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় ১২১ জন ভারতীয় যে পেগাসাস স্পাইওয়ারের শিকার হয়েছেন, একটি চিঠি দিয়ে সরকারকে সে কথাও জানিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ।