পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট নোটিস পাঠানোয় খুশি প্রিয়াঙ্কা শর্মা। মমতার ছবি বিকৃতির অভিযোগে ধৃত বিজেপি কর্মী প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সময়মতো কেন ছাড়া হয়নি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। প্রিয়াঙ্কা এদিন বলেন, "রাজ্য আমাকে জোর করে ক্ষমা প্রার্থনার চিঠি লিখিয়েছিল। সেই শর্তেই আমাকে ছেড়েছিল। আমি কিন্তু এখনও বলছি, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দেবে আমি তা মেনে চলব"।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্বেও কেন সঠিক সময়ে ছাড়া হয়নি প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে, শীর্ষ আদালতে আবেদন করে একথা জানতে চান তাঁর ভাই রাজীব শর্মা। এর প্রেক্ষিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট নোটিস পাঠায় রাজ্য সরকারকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃতির অভিযোগে হাওড়া জেলার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (বিজেওয়াইএম)-র ক্লাব সেলের আহ্বায়ক প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে ১০মে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়লে ১৪মে প্রিয়াঙ্কাকে জামিনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। প্রিয়াঙ্কার দাবি, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ১৮ ঘণ্টা পর তাঁকে ছেড়েছিল রাজ্য কারা কর্তৃপক্ষ। ছাড়ার সময় জোর করে শর্তও চাপিয়েছিল রাজ্য সরকার।"
আরও পড়ুন: মমতা সরকারকে কড়া নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, "সুপ্রিম কোর্ট তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তা সত্বেও আমাকে জেলে রেখেছিল। তার মানে এখানকার সরকার সুপ্রিম কোর্টের কথা মানছে না।" তিনি বলেন, "এখানকার সরকার নিজের ইচ্ছামতো চলে। কোনও আইন এই সরকার মানছে না। কোর্ট কখনও বলেনি, ক্ষমা চাইলে জামিন হবে। জোর করে জেলে ক্ষমা প্রার্থনার চিঠি লিখিয়েছিল। তা না হলে জামিনও দিত না। সেখানে হাজির ছিলেন জেলার, সাইবার ক্রাইমের অফিসার। এই শর্তেই জামিন দিয়েছে। ওরা আইন ভেঙেছে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী হব কেন"?
তবে মমতার ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করা নিয়ে এখনও কোনও আক্ষেপ নেই হাওড়ার এই বিজেপি যুব নেত্রীর। বরং তাঁর আগের অবস্থানে এখনও অনড় তিনি। প্রিয়াঙ্কার কথায়, "ছবিটা আমি 'ক্রিয়েট' করিনি। আমি 'ভাইরাল' করিনি। এটা 'অটোমেটিক' ভাবেই 'ভাইরাল' হয়েছিল। আমি শুধু এটাকে পোষ্ট করেছি। তাতে আমি অভদ্র কিছু লিখিনি। অভদ্র কিছু বলিনি। তার জন্য আমাকে জেলে যেতে হয়েছে"। এখানেই না থেমে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে তিনি বলেন, "আমি এর আগেও বলেছি, আমাকে যখন এ জন্য জেলে যেতে হয়েছে, তখন তাঁকেও(মুখ্যমন্ত্রীকে) জেলে নিয়ে যাওয়া উচিত। উনি যে ভাবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে অনেক কথা বলেছেন, সে জন্যই বলছি"।