দিল্লির পর এবার পুদুচেরি। উপ-রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত ঘিরে এবার আরেক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তৈরি হল সাংবিধানিক সঙ্কট। সরকারের কাজে ‘হস্তক্ষেপ’ করছেন উপরাজ্যপাল, এ অভিযোগ তুলেই এবার ধর্নায় বসে পড়লেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। উপরাজ্যপাল কিরণ বেদীর ‘স্বৈরাচারী’ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বুধবার রাজভবনের বাইরেই রাতভর অবস্থান করলেন নারায়ণস্বামী। রাতভর রাজভবনের সামনে কালো পোশাক পরে রাস্তায় ঘুমোলেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের এহেন আচরণ ‘আইন বহির্ভূত’ বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন কিরণ বেদী।
ঠিক কী অভিযোগ? সংবাদসংস্থা এএনআইকে নারায়ণস্বামী জানিয়েছেন, ‘‘ওঁর কোনও ক্ষমতা নেই। মন্ত্রিগোষ্ঠী যেসব নথি পাঠায়, সেগুলিতে সই-সাবুদ করেন মাত্র। মন্ত্রিসভার কোনও সিদ্ধান্তে নাক গলানোর অধিকার নেই। উনি সিদ্ধান্তগুলো নাকচ করে দিচ্ছেন।’’ তবে শুধু উপরাজ্যপালই নয়, এ ইস্যুতে মোদীর বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন নারায়ণস্বামী। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সমস্যা তৈরির জন্য কিরণ বেদীকে মোদী ‘উৎসাহ’ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, দিল্লির ক্ষমতা কার? দ্বিধাবিভক্ত সুপ্রিম রায়ে মিলল না রফা
এদিকে, ধর্না-বিক্ষোভ নিয়ে নারায়ণস্বামীকে চিঠি লিখে কিরণ বেদী জানিয়েছেন, আপনার মতো পদাধিকারীর জন্য এ ধরনের ধর্না-বিক্ষোভ মানায় না। এটা আইনবহির্ভূত। একইসঙ্গে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণস্বামীকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন উপরাজ্যপাল। উল্লেখ্য, রাজভবনে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নার মধ্যেই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকালে চেন্নাই গিয়েছেন কিরণ বেদী।
প্রসঙ্গত, কিরণ বেদীর সঙ্গে নারায়ণস্বামীর সংঘাত শুরু ২০১৬ সাল থেকে। নানা বিষয়ে উপরাজ্যপাল তাঁর সরকারের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতেন বলে বারবার সরব হয়েছেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই কিরণ বেদী সরকারি নির্দেশ জারি করতেন বলে অভিযোগ তুলেছে পুদুচেরি সরকার। সম্প্রতি, রাজ্যে হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেন কিরণ। তড়িঘড়ি বাইকচালকদের জন্য হেলমেট পরা বাধ্যতমূলক করতে চান উপরাজ্যপাল। এদিকে, সচেতনতার পরই সেই নয়া বিধি চালু করার পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়েই বিতণ্ডা বাঁধে মুখ্যমন্ত্রী-উপরাজ্যপালের।
Read the full story in English