/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/Punjab-Vote.jpg)
রবিবার চণ্ডীগড়ের কাছে নয়াগাঁওয়ের একটি বুথে ভোটারদের লাইন। এক্সপ্রেস ছবি : কমলেশ্বর সিং
গতকাল ঢেলে ভোটদানে উৎসাহ দেখাল না পঞ্জাব। রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পঞ্জাবে ভোটদানের হার ছিল ৬৪ শতাংশের কাছাকাছি। সোমবার রাজ্যে ভোটদানের হারের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। তবে সেই পরিসংখ্যানও ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটে রেকর্ড করা ৭৭.৬৩ শতাংশ ভোটদানের হারের চেয়ে কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার অমৃতসরেও ভোটদানের হার ছিল বেশ কম। অমৃতসর পূর্বে এবার ছিল হাই প্রোফাইল লড়াই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ছিলেন অকালি দলের বিক্রম সিং মাজিথিয়া। অমৃতসর পূর্ব কেন্দ্রে ভোটদানের হার ছিল ৫৩ শতাংশ। রবিবার অমৃতসরের সামগ্রিক ভোটদানের হার ছিল ৫৭.৭৪ শতাংশ। তবে অমৃতসরের চেয়েও গতকাল মোহালিতে আরও কম ভোট পড়েছিল। মোহালিতে ভোটদানের হার ছিল ৫৩.১০ শতাংশ। পঞ্জাবের মধ্যে মোহালিতেই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিল।
পঞ্জাবে ২০০২-এর বিধানসভা নির্বাবচেন ভোটদানের হার ছিল ৬৫.১৪ শতাংশ। ২০০৭-এ তা বেড়ে হয় ৭৫.৪২ শতাংশ। ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরও বাড়ে ভোটদানের হার। সেবার পঞ্জাবে ৭৮.৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটে ৭৭.৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল পঞ্জাবে। নির্বাচনী বিশ্লেষকদের ধারণা, এবার ২০১৭-এর সেই ভোটদানের হারও হয়তো ছুঁতে পারবে না পঞ্জাব।
আরও পড়ুন- গুজরাট বিজেপির শোরগোল ফেলা বিতর্কিত সেই টুইট সরিয়েই দেওয়া হল
রবিবার পঞ্জাবের মালওয়া অঞ্চলে AAP ঘাঁটি বলে পরিচিত কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের উপস্থিতি যথেষ্ট কম ছিল। এই এলাকাগুলি থেকেই ২০১৭-এর ভোটে আপ-এর ২০ প্রার্থী বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। মনসা, বার্নালা, ভাতিন্ডা, ফরিদকোট, মুক্তসর এবং সাঙ্গরুর জেলায় ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটের চেয়েও এবার ভোটদানের হার ছিল যথেষ্ট কম।
চমকৌর সাহেব এবং ভাদাউর, এই দুটি কেন্দ্র থেকেই এবার দাঁড়িয়েছিলেন পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। ওই দুই কেন্দ্রে রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যথাক্রমে ৭০% এবং ৭১.৩০% ভোট পড়েছিল। চান্নি বর্তমানে চমকৌর সাহেবের বিধায়ক।
Read story in English