সংরক্ষণ বিলকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার তিনি বলেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার করছে, তাদের মুখের ওপর এই বিল এক কড়া জবাব।
সংবিধান (১২৪তম সংশোধনী) বিলের উদ্দেশ্য সাধারণ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিল পাশ হয়েছে। ৩২৩ জন এ বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন মাত্র তিনজন।
আরও পড়ুন, পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের সামনে রাম মন্দির- বাবরি মসজিদ মামলা
মহারাষ্ট্রের শোলাপুরে একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যসভা জনমতকে সম্মান জানিয়ে সংরক্ষণ বিলের পক্ষে ভোট দেবে। বুধবারই সংরক্ষণ বিল রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংরক্ষণ বিল দলিত ও জনজাতি সহ বঞ্চিত শ্রেণিকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করবে না।
রাজ্যসভায় এই বিল কড়া বিরোধিতার মুখে পড়েছে। বিরোধীরা একে এপ্রিলের লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক গিমিক বলে অভিহিত করেছেন। এ বিল নিয়ে ঝামেলার জেরে অধিবেশন মুলতুবিও হয়ে গেছে রাজ্যসভায়।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে যে আশঙ্কার ছড়িয়েছে, এদিন তাকেও উড়িয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, আমি জনগণকে বলতে চাই যে নাগরিকত্ব বিল লাগু হলে আসাম এবং উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে না। মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব বিল।
প্রধানমন্ত্রী এই সফরে মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
Read the Full Story in English