স্মৃতি ইরানির কাছে আমেথি কেন্দ্রে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর, সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রিভিউ মিটিংয়ে বসলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
দলের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে হারের জন্য রাহুল সেই সব স্থানীয় নেতাদের দুষেছেন যাঁরা জনতার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না এবং তিনি যে এ কেন্দ্র ছেড়ে পালাবেন না তা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নাদিম আশরফ জয়াসি এব্যাপারে রাহুলকে উদ্ধৃত করেছেন, "আমি আমেথি ছাড়ব না। এটাই আমার বাড়ি, আমার পরিবার।"
আরও পড়ুন, দিল্লিতে আচমকা সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক রাজের
রাহুল দলীয় কর্মীদের বলেছেন, "আমেথির উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আমি ওয়েনাড়ের সাংসদ কিন্তু আমার সঙ্গে আমেথির সম্পর্ক ৩ দশকের পুরনো। আমেথির জন্য আমি দিল্লিতে লড়াই চালাব।"
এদিনের রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয় গৌরীগঞ্জের নির্মলা দেবী এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটে। এদিন গৌরীগঞ্জে গিয়ে দলের তিলোই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাতাপ্রসাদ বৈশের বাড়িতে যান তিনি। গত ২৫ জুন মাতাপ্রসাদের আত্মীয়বিয়োগ হয়েছে। রাহুল সেখানে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
এবারের লোকসভো ভোটে কংগ্রেসের পকেট কেন্দ্র আমেথি কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫২ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন রাহুল। এই পরাজয়ের পরে রাহুলের প্রতিনিধি চন্দ্রকান্ত দুবে এবং জেলা সভাপতি যোগেন্দ্র মিশ্র পদত্যাগ করেছেন।
কংগ্রেসের বিপর্যয়ের দায়িত্বভার নিজের কাঁধে নিয়ে রাহুল পার্টি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি এখন কেরালার ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ।
রাহুল পদত্যাগের কথা জানানোর পর থেকে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা বলছেন, কোনও সিনিয়র নেতার উচিত দলের দায়িত্ব নেওয়া এবং তাঁকে সাহায্য করবেন এক বা একাধিক কার্যকরী সভাপতি। তবে দলের তরুণ নেতাদের বক্তব্য এবার কংগ্রেসের উচিত অন্য রকম কিছু করা এবং কোনও তরুণ নেতার হাতে দলের দায়িত্ব ন্যস্ত করা।
Read the Full Story in English