Rahul Gandhi: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণে তারা যাবে না। ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। তাই নিয়ে একটা কারণও দেখিয়েছে। কিন্তু, সেটাই আসল কারণ কি না, তা নিয়ে ধন্দ ছিল অনেকেরই। কিন্তু, এবার সত্যিটা ফাঁস করে আসল কারণটা জানিয়ে দিলেন গান্ধী পরিবারের সন্তান তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, তাঁর 'ভারত ন্যায় জোড় যাত্রা'র সময় একটি সাংবাদিক বৈঠকে ভাষণ দেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই তিনি আসল কারণটা জানিয়ে দেন।
- কোহিমা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠক করেছেন।
- বিজেপির শরিক দলের নেতার এলাকায় করেছেন সাংবাদিক বৈঠক।
- ক্ষমতায় এলে নাগা সমস্যা মেটানোরও আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল।
কংগ্রেসের মধ্যেই বিরোধ
কংগ্রেসের তরফে দলের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী এবং লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁরা যাবেন না-বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তারপর থেকে, কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে, সোমবার মকর সংক্রান্তিতে, দলের উত্তরপ্রদেশ ইউনিট বর্তমান রাম লালা মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অযোধ্যায় গিয়েছিল। হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা দীপেন্দর হুডাও সোমবার রামের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন- এবছরই ভয়ংকর পরমাণু যুদ্ধ! প্রস্তুতি উত্তর কোরিয়ার
বিকল্প মডেল
রাহুলের 'ভারত জোড় যাত্রা'র এই নয়া সংস্করণ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে পড়েছে। নাগাল্যান্ডে রাহুল যেখানে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন, সেটা নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিওর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। নেফিউ রিওর দল আবার বিজেপির জোটসঙ্গী, এনডিএ শরিক। সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেছেন, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোট চায়- জনগণের সামনে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অবিচারের বিরুদ্ধে বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিজেপির ঘৃণার মডেল, অন্যায়ের মডেল আর একচেটিয়া ক্ষমতার মডেলের বিরুদ্ধে বিকল্প মডেল তৈরি করতে। সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল নাগা ইস্যু সমাধানের জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- শীতেও তুষারহীন কাশ্মীর-লাদাখ! কীভাবে ঘটল এই বিস্ময়কর ঘটনা?
বিজেপি-আরএসএস
গেরুয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আরএসএস রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটিকে কুক্ষিগত করেছে। তাকে নির্বাচনী অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে। তাই সেখানে কংগ্রেসের পক্ষে উপস্থিত হওয়া কঠিন। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মধ্যে দিয়ে মিছিল করার সময় তাঁর অযোধ্যায় যাওয়ার কোনও আগ্রহই ছিল না। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন। রাহুল পরিষ্কার জানান, হিন্দু ধর্মের মাথা হলেন শংকরাচার্যরা। তাঁরা পর্যন্ত অসম্পূর্ণ এই রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে অসন্তুষ্ট। এমন এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতাদের যাওয়ার কোনও প্রশ্নই থাকতে পারে না, বলেই রাহুল জানিয়েছেন।