কংগ্রেসে সংকট বেড়েই চলেছে। এবার হাত শিবিরের অস্বস্তি বাড়ল মরুরাজ্য রাজস্থানে। পঞ্জাবে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের ইস্তফা নিয়ে কারও নাম না নিয়ে কংগ্রেসের একাংশকে বিঁধে টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি লোকেশ শর্মা। তাঁর সেই টুইট নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় হাত-শিবিরে। বিতর্ক বাড়তেই শনিবার রাতে ইস্তফা দেন লোকেশ। ইস্তফার পরেও থামেননি তিনি। পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেছেন তিনি।
সংকট জারি কংগ্রেসে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি লোকেশ শর্মার আচমকা ইস্তফা নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে। ইস্তফাপত্রে লোকেশ তাঁর আগের টুইটের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে কাজ করেছেন লেকেশ শর্মা। গেহলটের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার অংশটির দেখভাল করতেন লোকেশ। ২০১৮ সালে গেহলট ফের ক্ষমতায় আসার পরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে নিযুক্ত করা হয়।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং পদত্যাগ করার পরেই একটি টুইট করেছিলেন লোকেশ শর্মা। যা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। টুইটে ঠিক কী লিখেছিলেন লোকেশ? , কারও নাম না নিয়েই সেই টুইটে তিনি লেখেন, ''শক্তিশালীকে বাধ্য ও সাধারণ মানুষকে অহঙ্কারী করা যায়, বেড়াই গোটা ক্ষেত খাচ্ছে, সেই ফসল বাঁচাবে কে?'' খোদ মুখ্যমন্ত্রীর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটির এই টুইট ঘিরে মরুরাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। কংগ্রেসের একাংশ লোকেশ শর্মার এই টুইট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিতর্ক বাড়লে শনিবার রাতেই ইস্তফা দেন লোকেশ শর্মা।
ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, ২০১০ সাল থেকে টুইটারে তিনি সক্রিয়ভাবে রয়েছেন। তবে কখনও দলের বাইরে গিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে যোগ দেওয়ার পর থেকে কোনওদিন তিনি রাজনৈতিক কোনও বক্তব্য টুইটে রাখেননি। তবুও তাঁর টুইট ঘিরে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড ও দলের একাংশ তাঁর প্রতি রুষ্ট হলে তিনি ক্ষমা স্বীকার করছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বোনের বিরুদ্ধে প্রচারে নামবেন না দাদা বাবুল, আশায় ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী
গত বছর রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট এবং দলেরই অন্য ১৮ বিধায়ক বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন। গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁরা কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সময়ে রাজস্থানে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। ওই সময়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, বিজেপি নেতা সঞ্জয় জৈন এবং কংগ্রেস বিধায়ক ভনরলাল এবং বিশ্বেন্দ্র সিংয়ের একটি কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছিল। তাঁরা রাজ্যে কংগ্রেস সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, অশোক গেহলটের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি লোকেশ শর্মা সেই অডিও ক্লিপ ফাঁস করেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন লোকেশ।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন