রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে যা তথ্য উঠে আসবে, তাতে রাজ্যের অর্ধেক মন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। পাশাপাশি রাজীব কুমারকে যখন হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই, ঠিক সে সময় মোদীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপির এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। তবে কৈলাশের মন্তব্যের পাল্টা সরব হয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও।
আরও পড়ুন: ‘রাজীব কুমারের পরিণতির জন্য মমতাই দায়ী’
ঠিক কী বলেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়?
বিজয়বর্গীয় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘হঠাৎ উনি মোদীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন! অথচ, এর আগে বারবার কেন্দ্রের বিভিন্ন বৈঠক এড়িয়েছেন উনি। নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওঁর সাক্ষাৎ ঘিরে প্রশ্ন তো উঠবেই’’। এরপরই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা তথ্য পাবে সিবিআই, তাতে রাজ্যের অর্ধেক মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে’’। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের পাল্টা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সিবিআই-ইডি নিয়ন্ত্রণ করছে রাজনৈতিক লোক। বিজেপি অফিস থেকে যে ইডি পরিচালনা করা হচ্ছে, তা ওঁর কথায় স্পষ্ট হয়ে গেল’’।
আরও পড়ুন: মোদীর স্ত্রীর সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ মমতার
প্রসঙ্গত, বুধবার মোদী-মমতা সাক্ষাতের কথা। মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন মমতা। রাজীব কুমার বনাম সিবিআই আইনি লড়াইযে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে মোদীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাত ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। ‘‘রাজীব কুমারকে বাঁচাতেই মোদীর সঙ্গে দেখা করছেন মমতা’’, কার্যত এ ভাষাতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া ও রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার বিষয়ে কথা হবে বলেই এই দিল্লি যাত্রা বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এসব নথিভুক্ত বিষয়ের পাশাপাশি আরও যা প্রসঙ্গ উঠবে ‘তা নিয়েও’ কথা বলে জানিয়েছেন মমতা। এদিকে, মঙ্গলবারই দিল্লি যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাত্ৎ হয় নমো-পত্নীর। এই আকস্মিক সাক্ষাতে যশোদাবেনকে বাংলার শাড়ি উপহার দিয়েছেন মমতা। উল্লেখ্য, এদিনই আবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন। সেজন্য সকাল সকাল টুইটারে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের সৌজন্য মেনে মমতাকে টুইটারেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী।