Advertisment

ধর্নায় ইতি ৮ সাংসদের, সাসপেনশন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন বয়কট বিরোধীদের

বিক্ষোভকারী সাংসদরা অবশ্য সেই চা পান করেননি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধী শিবির।

রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া আট বিরোধী সাংসদ ধর্না বিক্ষোভ তুললেন। তবে সাসপেনশন না প্রত্যাহার পর্যন্ত বিরোধী শিবির অধিবেশনে যোগ দেবে না বলে জানানো হয়েছে।

Advertisment

আট সাংসদের সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। এমএস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে এমএসপি নির্ধারণ করতে হবে এবং সরকার এমন একটি বিল আনুক যার দ্বারা বেসরকারি সংস্থা কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কম দামে ফসল কিনতে পারবে না। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করবে সরকারই। জিরো আওয়ারের পর রাজ্যসভার বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ এই দাবি পেশ করেন। দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী সাংসদরা অধিবেশন বয়কট করবেন বলে জানিয়েছেন আজাদ। এরপরই ধর্না বিক্ষোভে ইতি টানেন ৮ সাংসদ।

সাসপেনশনের বিরোধীতায় সোমবার রাতভর সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না দেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং দোলা সেন-সহ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া আট সাংসদ। মঙ্গলবার সকালেও একই ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই রবিবার সংসদের উচ্চকক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের দাবি জানায় বিরোধী শিবির। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু সেই দাবি খারিজ করে দেন। কিন্তু এদিন সকালে দেখা গেল হরিবংশ নারায়ণ সিং ধর্নারত আট সাংসদের সঙ্গে এসে দেখা করলেন । তাঁদের জন্য চা নিয়ে এসেছলেন তিনি। যদিও বিক্ষোভকারী সাংসদরা সেই চা পান করেননি।।


রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান এই কাজের প্রসংশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।টুইটে তিনি লিখেছেন. 'শতকের পর শতক ধরে বিহারের পবিত্র ভূমি আমাদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধ শেখাচ্ছে। সেই পথে হেঁটেই আজ সকালে বিহারের সাংসদ ও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান শ্রী হরিবংশজির অনুপ্রেরণামূলক ও রাষ্ট্রনেতার মতো আচরণে গর্ববোধ করবেন প্রত্যেক গণতন্ত্রপ্রেমী।'

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বোরা বলেছেন, ‘রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, সহকর্মী হিসেবে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন হরিবংশজি। আমাদের জন্য চা ও স্ন্যাকও নিয়ে এসেছিলেন। সাসপেনশনের বিরুদ্ধে গতকাল (সোমবার) আমরা ধর্না-বিক্ষোভে শুরু করেছি। আমরা এই বিক্ষোভ জারি রাখব।’

আরও পড়ুন- বিক্ষোভের আবহেই গম-সহ ৬ রবিশস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়াল কেন্দ্র

জোড়া কৃষি বিল ইস্যুতে গত রবিবার রাজ্যসভায় তুলকালাম হয়। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলের সাংসদরা। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংয়ের কাছ থেকে রাজ্যসভার রুল বুক ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের বিরুদ্ধে। বিরোধী সাংসদরা ডেপুটি চেয়ারম্যানের মাইক্রোফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এই কারণে সোমবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন- সহ রাজ্যসভার আট বিরোধী সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।

যদিও নির্দেশ লঙ্ঘন করে সভাকক্ষ ছাড়তে অস্বীকার করেন ওই আট সাংসদ। পরেতাঁরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, কংগ্রেসের রাজু সাতাভ, রিপুণ বোরা ও সৈয়দ নাজির হুসেইন, সিপিএমের কে কে রাগেশ ও এলামারাম করিম এবং আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp CONGRESS CPIM Parliament
Advertisment