তুঙ্গে রাম রাজনীতি। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের 'ধর্মসভা'কে কেন্দ্র করে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। আর এই তরজায় ভিন্ন মাত্র যোগ করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ। শনিবারই ধর্মসভায় যোগ দিতে অযোধ্যায় এসেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। রাম লালার মন্দিরে প্রার্থনা সেরে এদিন তিনি বলেন, বিজেপি আগামী দিনে ক্ষমতায় আসুক বা না আসুক অযোধ্যায় রাম মন্দির হবেই।
রাম ভক্তদের উচ্ছ্বাস। এক্সপ্রেস ফটো।
রবিবার 'বালা সাহেবে'র পুত্র সাংবাদিকদের বলেন, "বিল বা অর্ডিন্যান্স যেভাবেই হোক, আমরা রাম মন্দির চাই। যদি সরকারের ভুলে যাওয়া উচিত না যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন"। প্রসঙ্গত, শনিবারই রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেছিলেন, এ বিষয়ে সরকারের 'কুম্ভকর্ণের মতো ঘুম' ভাঙা উচিত।
সভার প্রস্তুতি। এক্সপ্রেস ফটো।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই ধর্মসভাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা এবং ফৈজাবাদ কার্যত দুর্গের আকার ধারণ করেছে। পরিষদের তরফে দাবি, এই সভা উপলক্ষে সমবেত হবেন "দু'লক্ষেরও বেশি রামভক্ত যা ১৯৯২ সালেও হয়নি"। ফলে, এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে পুলিশও নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখেনি। উল্লেখ্য, গতকালই যোগী আদিত্যনাথ ২২১ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট রাম মূর্তি নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন।
নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ধর্মসভা। এক্সপ্রেস ফটো।
এদিকে আবার রবিবার সুপ্রিম কোর্টে রাম মন্দির মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার জন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। রাজস্থানের এক জনসভায় মোদী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ইমপিচমেন্টের ভয় দেখিয়ে রাম মন্দির মামলার শুনানি ক্রমাগত পিছিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেসের এক রাজ্যসভার সাংসদ।