বড় ভাঙন ধরল হরিয়ানা কংগ্রেসে। ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোই। বৃহস্পতিবারই তিনি গেরুয়া শিবিরে নামে লেখাতে পারেন। হরিয়ানার রাজনীতিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুলদীপ বিষ্ণোই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন, কারণ তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, দল তাঁর ওপর ভরসা রাখেনি।
এতে ক্ষুব্ধ কুলদীপ চার মাস আগে থেকেই বিজেপিতে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন। সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর বুধবার হরিয়ানা বিধানসভা থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। আদমপুরের এই কংগ্রেস বিধায়কের পদত্যাগপত্র পেশের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক রেনুকা বিষ্ণোই। বিধানসভার স্পিকার জ্ঞানচাঁদ গুপ্তার কাছে কুলদীপ বিষ্ণোই তাঁর পদত্যাগপত্র পেশ করেন।
হরিয়ানার রাজনীতিতে কুলদীপ বিষ্ণোই বেশ বড় নাম। ৫৩ বছর বয়সি এই নেতা দু'বার সাংসদ হয়েছিলেন। চারবার বিধানসভায় জিতে এসেছেন। তিনি হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলালের ছোট ছেলে। সাংবাদিকদের কুলদীপ বলেন, 'আমি এই পদক্ষেপ না-করলে লোকেরা বলত যে কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের কোনও ক্ষমতা নেই। শুধুমাত্র তাঁরাই এই ধরনের পদক্ষেপ করতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কিছু ক্ষমতা আছে।'
একইসঙ্গে কুলদীপ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, 'এখন আমার সঙ্গে কোন বিধায়ক দল পরিবর্তন করছেন না। কিন্তু, সাতজন প্রাক্তন বিধায়কের সমর্থন আমার সঙ্গে আছে। আমি আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের হাতে তাঁদের নাম দেব। তিনি যখনই চান, তাঁদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। আমি তাঁদের সঙ্গে একইদিনে বিজেপিতে যোগ দেব।'
আরও পড়ুন- প্রবল হট্টগোলে দফায় দফায় মুলতুবি লোকসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন সনিয়াও
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে কুলদীপ বিষ্ণোই বলেন, 'কংগ্রেস তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। আমি আগেও বলেছিলাম যে ইন্দিরা গান্ধীজি এবং রাজীব গান্ধীর আমলে কংগ্রেস অনেক আলাদা ছিল। কংগ্রেস এখন চাটুকারদের দলে পরিণত হয়েছে। এই দল এখন এমন সব লোকের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যাঁরা কখনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। অথবা তাঁরা কয়েক দশক ধরে কোনও নির্বাচনে জয়ী হয়নি।'
কুলদীপের পদত্যাগের কথা বলতে গিয়ে স্পিকার জ্ঞানচাঁদ গুপ্তা বলেন, 'যখন কোনও সদস্য তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন, তখন সেই পদত্যাগের আইনি ভাষা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই পদত্যাগপত্রও পরীক্ষা করা হবে। সব ঠিক থাকলে পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। সেই খবর নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যাতে আসনটিতে উপনির্বাচন করা হয়।'
Read full story in English