Advertisment

খনি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তিতে হেমন্ত সোরেন

ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের ৩ জুনের নির্দেশ খারিজ করল শীর্ষ আদালত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jharkhand Chief Minister Hemant Soren

হেমন্ত সোরেন (ফাইল ছবি)

খনি দুর্নীতি মামলায় স্বস্তিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে বেআইনি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই ৩ জুন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত।

Advertisment

সেই মামলাতেই প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়াকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, 'ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের ৩ জুনের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।' এর আগে হেমন্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগস্টে এই জনস্বার্থ মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটেছে বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে। ঝাড়খণ্ড বিজেপির নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, সোরেন তাঁর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা পঙ্কজ মিশ্র ও প্রেস অ্যাডভাইজার অভিষেক প্রসাদকে দুটি খনির বরাত পাইয়ে দিয়েছেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পঙ্কজ মিশ্রকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

ঝাড়খণ্ড বিজেপির অভিযোগ, হেমন্তের অধীনে খনি দফতর। সেই কারণেই এই সব খনির বরাতগুলো পেয়েছে হেমন্তের দুই পরামর্শদাতা। তাই যাবতীয় কেলেঙ্কারির মূলে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীই। কিন্তু, সেই অভিযোগ মানতে চাননি হেমন্ত। তারপরও হেমন্তের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড বিজেপির নেতারা। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের কাছেও দরবার করেন।

আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: চরম অসন্তুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, SIT-এর তদন্তকারী বদলের হুঁশিয়ারি

পালটা, গোটা ঘটনাটিকে একটা চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনিও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রাজ্যপাল রমেশ বৈশকেও চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁদের মনোভাব চিঠিতে জানতে চেয়েছিলেন হেমন্ত। নির্বাচন কমিশন তার মতামত মুখবন্ধ খামে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালকে জানিয়েছিল। কিন্তু, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল গোটা বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি।

এর মধ্যেই ঝাড়খণ্ডে তাঁর সরকারকে বিজেপি টাকা ছড়িয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে হেমন্ত অভিযোগ জানান। তিনি বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হন। সেই আস্থায় জয়ী হয় হেমন্তের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও কংগ্রেসের জোট সরকার। এরপর এবার আদালতেও স্বস্তি পেলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

Read full story in English

jharkhand CM Hemant Soren Supreme Court of India
Advertisment