দরকষাকষির রাস্তা ছেড়ে সমঝোতার পথে বিহারের বিরোধী জোট। তবে এখনই সরকারিভাবে তা ঘোষণা করতে চাইছে না আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোট শিবির। শাসক এনডিএ জোটের প্রার্থী তালিকা দেখেই নিজেদের সমঝোতা প্রকাশ্যে আনতে আগ্রহী আরজেডি-কংগ্রেস ও বামেরা।
এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, ২৪৩টির মধ্যে আরজেডি লড়বে ১৩৮ আসনে। কংগ্রেসকে ছাড়া হবে ৬৮-৭০ আসন। ২৯ আসনে লড়তে পারে বামেরা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বিরোধী নেতৃত্ব চাইছে, শাসক জোটের প্রার্থী তালিকা দেখে আসন বিচারে প্রতিপক্ষ কোন দলের শক্তি কেমন তা মেপে এগোতে। এতে কোনও দলের আসন সংখ্যা বাড়তেও পারে, আবার কমেও যেতে পারে।
জানা গিয়েছে, ১৩৮টির মধ্যে ৬টি আসন বিকাশশাল ইনসান পার্টিকে দেবে আরজেডি। এছাড়া, ২টি আসন ছাড়া হতে পারে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে।
২০১৫ সালে ৪১ আসনে লড়াই করে কংগ্রেস জিতেছিল ২৭টি। এবার তাই ৬৯ থেকে ৭০টি আসনে লড়াই করতে চায় হাত শিবির।
আরও পড়ুন- বিহার ভোট: আসন রফা নিয়ে মুখেই গর্জন, বর্ষণের বেলায় সুর নরম এলজেপির
২৯টির মধ্যে সিপিআই ও সিপিএম লড়তে পারে যথাক্রমে ৬ ও ৪টি আসনে। ১৯ আসনে লড়াইয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিপিআই(এমএল)। গত বিধানসভায় এই দলের ৩ জন বিধায়ক ছিল।
তবে, এখনও বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে মহাজোটের দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে সেই বিরোধও মিটিয়ে নেওয়া যাবে বলে আশাবাদী বিরোধী নেতৃত্ব।
শুক্রবারই সিপিআই(এমএল) এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ও দলের বিহার শাখার সম্পাদক কুণাল লাটের আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেন। আগে এই বাম দল ২০ আসনে লড়াইয়ের দাবি করেছিল। আরজেডি তাদের ১৫ আসন ছাড়তে রাজি ছিল। জানা গিয়েছে আসন সমঝোতা নিয়ে বাম দলগুলোর কোনও অভিযোগ আপাতত নেই।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন