এক যুগ পর বিজেপি থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘে (আর.এস.এস) ফেরানো হল রামলালকে। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক পদে কাজ করা রামলালকে এবার সংঘের 'সহ-সম্পর্ক প্রমুখ' পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। তবে বিজেপিতে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিজেপিতে সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সংঘ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে এই পদ। ২০০৭ সালে সঞ্জয় জোশীর উত্তরসূরি হিসেবে ওই পদে বসেন রামলাল (৬৭)। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে পরবর্তী সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ইতিমধ্যে উঠে আসতে শুরু করেছে বিজেপির জাতীয় যুগ্ম দুই সম্পাদক শিবপ্রকাশ এবং ভি সতীশের নাম। বর্তমানে এই পদে কেবল শিবপ্রকাশ এবং ভি সতীশই নন, রয়েছেন বি এল সন্তোষ এবং সুদান সিংও। তবে এঁদের মধ্যে রামলালের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন একদা সংঘ সদস্য শিবপ্রকাশ। তবে, ভি সতীশ আবার মোদী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া, অতীতে গুজরাতে মোদী-শাহের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সময় কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ফলে, বি সতীশও অন্যতম দাবিদার বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ‘খেলা অনেক বাকি’, অভিষেককে চ্যালেঞ্জ মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর
রামলাল ১২ বছর বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভাল ফল করেছে বিজেপি। তবে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে দলের সাংগঠনিক রদবদল করেই চলেছেন মোদী এবং অমিত শাহ। রামলালকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেই বৃত্তই সম্পূর্ণ করল বিজেপি, এমনটা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। শনিবার বিজয়ওয়াড়ায় আর.এস.এস এর প্রান্ত প্রচারক বৈঠকেই রামলালকে সংঘে ফেরানোর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘মুকুল রায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন’
সঙ্ঘের পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানানো হয়েছে, "রামলাল বিজেপিতে বহু বছর কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আমরা বিজেপির সঙ্গে কথা বলেছি। এখন সংঘের কাজে তাঁকে দরকার"।