Advertisment

উত্তাল কেরালা, হিংসায় মদতের জন্য আরএসএস-কে দায়ী করলেন পিনারাই বিজয়ন

শবরীমালার অনন্যতার বিষয়ে আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার বরারই অসহিষ্ণু: বিজয়ন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sabarimala tension

Sabarimala Temple Protest in Kerala: কেরালা জুড়ে হিংসাত্মক বিক্ষোভ।

ঈশ্বর দর্শন নিয়ে অগ্নিগর্ভ ঈশ্বরের আপন দেশ। সুপ্রিম কোর্ট শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের নির্দেশ দিলেও, তা মানতে নারাজ আয়াপ্পা 'ভক্তদের' একাংশ। আর এই নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরে তুলকালাম চলছে কেরালায়। মহিলারা এই পার্বত্য এলাকার তীর্থক্ষেত্র দর্শনে যাবে বলায় পথে নেমে 'প্রতিরোধ' শুরু করেছে 'ভক্তকুল'। আর এ জন্য এই মুহূর্তে সে রাজ্যে পরিস্থিতি রীতিমতো হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- শবরীমালার মন্দির খুলল হিংসাত্মক বিক্ষোভের মধ্যে, আটকানো হল মহিলাদের

বুধবার মধ্যরাতে দু'টি দক্ষিণপন্থী সংগঠন বনধ ডাকায়, ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে কেরালার চার এলাকায়। পাথানামথিট্টা জেলার কালেক্টরেট পি.বি. নুহ্ বলেছেন, শিশুদের সুরক্ষা দেওয়াই এই মুহূর্তে পুলিশের প্রাথমিক দায়িত্ব। উল্লেখ্য, সুপ্রিম রায়ের পর এই প্রথম বুধবারই (গতকাল) মাসিক পূজার্চনার জন্য শবরীমালা মন্দিরের দুয়ার খুলেছে। আয়াপ্পা-কে পুজো দেবেন বলে মনস্থ করেছিলেন বিভিন্ন বয়সের একাধিক মহিলা। আর এটাই হতে দিতে চাননা 'ভক্তকুলের একাংশ'। তাদের দাবি, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের নারীদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ। এমতাবস্থায় রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার নেতৃত্বাধীন আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ এবং শবরীমালা সংরক্ষণ সমিতি।

উল্লেখ্য, কেরালার পিনারাই বিজয়ন সরকার প্রথম থেকেই সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কার্যকর করার পক্ষে। প্রশাসনিক দিক থেকে তারা প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বুধবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চূড়ান্ত হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছে। শবরীমালা মন্দিরের পথে মহিলা ভক্তরা এবং সাংবাদিকরা প্রতিবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামালদিতে পুলিশকে প্রতিবাদীদের উপর লাঠিচার্জও করতে হয়েছে। এদিকে, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, নিলাক্কাল ও পাম্বা এলাকায় হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক পোস্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন কেরালা পুলিশের ডিজি।

শবরীমালা মন্দিরকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতির জন্য সঙ্ঘ পরিবার ও আরএসএস-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআই(এম) নেতা পিনারাই বিজয়ন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, শবরীমালার অনন্যতার বিষয়ে আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার বরারই অসহিষ্ণু। এই ধর্মস্থানে সব ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের প্রবেশাধিকার এর আগেও বিলোপ করতে চেষ্টা করছে ওরা। আদিবাসী-মালায়ারান সম্প্রদায় এই মন্দিরে যে আচার অনুষ্ঠান করে তাও আরএসএস ও সঙ্ঘ পরিবার বন্ধ করতে চেয়েছে বলে দাবি করেছেন সিপিএম-এর এই পলিটব্যুরো সদস্য। রাজ্য জুড়ে আরএসএস-এর মদতপুষ্ট প্রতিবাদীরাই যে হিংসা ছড়াচ্ছে সে কথাও দ্বর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।

Violence
Advertisment