বিধাননগর পুরসভায় অনাস্থাকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন সব্যসাচী। ৮৯ পৃষ্ঠার আবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সামনে এনেছেন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক। তাঁকে পদচ্যুত করতে ভয় দেখিয়ে কাউন্সিলরদের অনাস্থা প্রস্তাবে সই করানো হয়েছে। এমনকী, পুরসভার কমিশনারের বিশেষ বৈঠক ডাকার নোটিসের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র সব্যসাচী। ওই নোটিসে কমিশনারের সই জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিধাননগরের মেয়র।
আরও পড়ুন: নেপথ্যে মুকুল? তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ সব্যসাচীর
ঠিক কী কী অভিযোগ করেছেন সব্যসাচী দত্ত?
* পুরসভার কমিশনারের বিশেষ বৈঠক ডাকার নোটিসের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র সব্যসাচী। নোটিসটি ভেবেচিন্তে লেখা হয়নি। সেটি লেখা হয়েছে একেবারে ‘যান্ত্রিক ভাবনায়’, তাই তা খারিজের আবেদন জানিয়েছেন সব্যসাচী।
* পুরসভায় বিশেষ বৈঠক ডেকে ৯ জুলাই নোটিস দেন কমিশনার। কিন্তু গত ২৭ জুন থেকে ছুটিতে রয়েছেন কমিশনার। ছুটিতে থাকাকালীন কীভাবে নোটিসে সই করলেন কমিশনার? ওই সই জাল করা হয়েছে কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছেন সব্যসাচী।
* সব্যসাচীর অভিযোগ, রাজ্য সরকার প্রতিহিংসাবশতই চক্রান্ত করে কয়েকজন কাউন্সিলরকে দিয়ে ওই নোটিসে সই করিয়েছে।
*সব্যসাচীর আরও অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভা গঠিত হওয়ার পর পুরনো রাজারহাট-গোপালপুর পুর এলাকায় বহু বেআইনি নির্মাণ দেখা গিয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই সেখানে পুর আইন মানা হয়নি। এ ধরনের বেআইনি কাজে মদত দেওয়া কাউন্সিলররাই তাঁকে সরাতে চান বলে দাবি করেছেন বিধাননগরের মেয়র।
প্রসঙ্গত, অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সব্যসাচী দত্ত। সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এ মামলার শুনানি। অন্যদিকে, সব্যসাচীর হাইকোর্টে মামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আইনি পরামর্শ নিতেই পারেন, আইন অনুযায়ী ৩৬ জন কাউন্সলিলর অনাস্থায় সই করেছেন। ওঁর জায়গায় আমি থাকলে, নৈতিক ভাবে পদত্যাগ করতাম’’।