সব্যসাচী দত্ত ও তাপস চট্টোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নারায়ণপুর এলাকা। তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে চিনার পার্কে অবরোধ করা হয়। অবরোধ ওঠার পর পাল্টা হামলার অভিযোগ করা হয়। গুলি-বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে, এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশাল বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ওমর-মেহবুবার খোঁজ পাচ্ছি না, মমতার গলায় উৎকন্ঠা
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে চিনার পার্কে অবরোধ করা হয়। সেই ঘটনায় প্রথমে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর অবরোধ ওঠার পর হামলার অভিযোগ ওঠে। গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলি-বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাপস অনুগামীদের দাবি, তাঁরা কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়। অন্যদিকে, তাপস অনুগামীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন সব্যসাচীর অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলেই আছি, দল প্রমাণ করল আমার দাবি ন্যায্য ছিল: সব্যসাচী
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিধাননগর মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দেন সব্যসাচী দত্ত। দলের সঙ্গে কার্যত সংঘাতের পরই মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান সব্যসাচী। দলবিরোধী কাজের অভিযোগ কার্যত কোণঠাসা করে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলররা। দলের নির্দেশেই অনাস্থা আনার অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন তাপস চট্টোপাধ্যায়ই। সব্যসাচীর বিরুদ্ধে কয়েকবার সরবও হতে দেখা গিয়েছে তাপসকে। বিধাননগর পর্বের পর সেই তাপস চট্টোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে সব্যসাচীর গোষ্ঠীর সংঘাত রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বঙ্গ রাজনীতির একাংশ।