বিজেপি নেতাদের মুখে কুকথার বাণ যেন থামছেই না। সিএএ বিরোধিতায় শামিল হওয়া বুদ্ধিজীবীদের ‘মমতার কুকুর’ বলে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দলের সাংসদের কথার প্রসঙ্গ টেনে এবার বুদ্ধিজীবীদের ‘বাঁদর’ বলে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়লেন বঙ্গ বিজেপির আরেক নেতা সায়ন্তন বসু। ‘‘বুদ্ধিজীবীদের কুকুর বলতে আপত্তি থাকলে বাঁদর বলুন’’, এই কদর্য ভাষাই শোনা গিয়েছে সায়ন্তনের মুখে।
ঠিক কী বলেছেন সায়ন্তন বসু?
বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘কুকুর শব্দে আপত্তি থাকলে বাঁদর বলতে পারেন। যাঁরা কা কা (সিএএ) করেছিলেন, তাঁরা সকলে ৫০০ টাকা করে পেয়েছিলেন’’। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারও বুদ্ধিজীবীদের নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মমতার সঙ্গে যেসব বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, তাঁরা ধান্দাজীবী’’।
সায়ন্তন বসু। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষকে খাঁচায় ভরে রাখা হবে’
উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “যে বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী মনে করেন অথচ কামদুনির মতো ঘটনার বেলায় চুপ থাকেন বা পার্কস্ট্রিটকাণ্ডে চুপ থাকেন, তেহট্টে বোমাবর্ষণের সময়ে চুপ থাকেন, তাঁরা তৃণমূলের কুকুর ছাড়া কিচ্ছু না। যেমন বলা হত ‘তেজোর কুকুর’, যেমন সেটা দেশব্যাপী নয় বিশ্বব্যাপী জানত। তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুত্তা এই বুদ্ধিজীবীরা, যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। তাঁরা কি জানেন না বিল-এ এটার সম্বন্ধে কী লেখা আছে? তাঁরা জেনেও ন্যাকামি করছেন। তাই তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুত্তা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। তাঁরা ন্যাকাজীবী। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের কুকুর’’।
src="https://www.youtube.com/embed/WMblaFh9xfw" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
আরও পড়ুন: মমতার সিএএ বিরোধী প্রস্তাবে অজয় দেবগন-কাজলের প্রসঙ্গ টানলেন সায়ন্তন, সন্দিহান বাম-কংগ্রেস
সায়ন্তনের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘ওঁদের দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষই কুকথা বলছেন। ফলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, দলের অন্যরাও এমন মন্তব্য করবেন। ওঁদের থেকে এর থেকে বেশি কী আর আশা করা যায়। বিজেপি নেতারা বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করছেন’’।
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বাংলার বহু বিশিষ্টরাই সোচ্চার হয়েছেন। অরাজনৈতিক ব্যানারেই কলকাতার রাজপথে নেমে নয়া আইনের প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অনেকে। আবার কয়েকজন বিশিষ্টদের রাজনৈতিক ব্যানারেই প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে। সিএএ বিরোধিতায় শামিল হওয়ায় প্রথম থেকে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশকে নিশানা করতে আসরে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি।
Read the story in English
‘কুকুরে’র পর ‘বাঁদর’! গেরুয়া বচন ঘিরে তুমুল বিতর্ক বঙ্গ রাজনীতিতে
‘‘কুকুর শব্দে আপত্তি থাকলে বাঁদর বলতে পারেন। যাঁরা কা কা (সিএএ) করেছিলেন, তাঁরা সকলে ৫০০ টাকা করে পেয়েছিলেন’’।
Follow Us
বিজেপি নেতাদের মুখে কুকথার বাণ যেন থামছেই না। সিএএ বিরোধিতায় শামিল হওয়া বুদ্ধিজীবীদের ‘মমতার কুকুর’ বলে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দলের সাংসদের কথার প্রসঙ্গ টেনে এবার বুদ্ধিজীবীদের ‘বাঁদর’ বলে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়লেন বঙ্গ বিজেপির আরেক নেতা সায়ন্তন বসু। ‘‘বুদ্ধিজীবীদের কুকুর বলতে আপত্তি থাকলে বাঁদর বলুন’’, এই কদর্য ভাষাই শোনা গিয়েছে সায়ন্তনের মুখে।
ঠিক কী বলেছেন সায়ন্তন বসু?
বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘কুকুর শব্দে আপত্তি থাকলে বাঁদর বলতে পারেন। যাঁরা কা কা (সিএএ) করেছিলেন, তাঁরা সকলে ৫০০ টাকা করে পেয়েছিলেন’’। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারও বুদ্ধিজীবীদের নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মমতার সঙ্গে যেসব বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, তাঁরা ধান্দাজীবী’’।
আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষকে খাঁচায় ভরে রাখা হবে’
উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “যে বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী মনে করেন অথচ কামদুনির মতো ঘটনার বেলায় চুপ থাকেন বা পার্কস্ট্রিটকাণ্ডে চুপ থাকেন, তেহট্টে বোমাবর্ষণের সময়ে চুপ থাকেন, তাঁরা তৃণমূলের কুকুর ছাড়া কিচ্ছু না। যেমন বলা হত ‘তেজোর কুকুর’, যেমন সেটা দেশব্যাপী নয় বিশ্বব্যাপী জানত। তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুত্তা এই বুদ্ধিজীবীরা, যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। তাঁরা কি জানেন না বিল-এ এটার সম্বন্ধে কী লেখা আছে? তাঁরা জেনেও ন্যাকামি করছেন। তাই তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুত্তা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। তাঁরা ন্যাকাজীবী। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের কুকুর’’।
src="https://www.youtube.com/embed/WMblaFh9xfw" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
আরও পড়ুন: মমতার সিএএ বিরোধী প্রস্তাবে অজয় দেবগন-কাজলের প্রসঙ্গ টানলেন সায়ন্তন, সন্দিহান বাম-কংগ্রেস
সায়ন্তনের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘ওঁদের দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষই কুকথা বলছেন। ফলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, দলের অন্যরাও এমন মন্তব্য করবেন। ওঁদের থেকে এর থেকে বেশি কী আর আশা করা যায়। বিজেপি নেতারা বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করছেন’’।
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বাংলার বহু বিশিষ্টরাই সোচ্চার হয়েছেন। অরাজনৈতিক ব্যানারেই কলকাতার রাজপথে নেমে নয়া আইনের প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অনেকে। আবার কয়েকজন বিশিষ্টদের রাজনৈতিক ব্যানারেই প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে। সিএএ বিরোধিতায় শামিল হওয়ায় প্রথম থেকে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশকে নিশানা করতে আসরে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি।
Read the story in English