পুলিশি বাধা উড়িয়েই অমিত শাহের বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করেছিল সিএএ বিরোধী শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা। তবে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। অনুমতির কাগজ দেখাতে বললে আন্দোলকারীরা জানায়, ৪-৫ হাজার মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেকা করবেন। ফলে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
প্রতিনিধি দল নয়, সিএএ বাতিলের দাবিতে মিছিল করে রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন শাহিনবাগের আন্দোলকারীরা। সিএএ-এনআরসি নিয়ে যে কেউ যদি তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান, তা হলে তিন দিনের মধ্যে তা করতে তৈরি তিনি। তবে তার জন্য আগাম সময় চাইতে হবে তাঁর দফতরের কাছে। গত বৃহস্পতিবার শাহের এই আহ্বানের সূত্র ধরেই এদিন মিছিলের পরিকল্পনা করেছেন শাহিনবাগের সিএএ প্রতিবাদীরা।
শাহিনবাগের এক প্রতিবাদী বলেছিলেন, 'প্রতিনিধি দল নয়, যাদেরই সিএএ নিয়ে সমস্যা রয়েছে তারাই তাদের দাবি নিয়ে অমিত শাহের কাছে হাজির হবেন।' তবে, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রের আধিকারিক আগেই জানান, সিএএ-এনআরসি নিয়ে আলোচনার জন্য কোনও আবেদনই দফতরে জমা পড়েনি। তাই স্বারামন্ত্রীর সঙ্গে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের দেখা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন ছিলই।
আরও পড়ুন: ‘আপনারা চাইলেই সময় দেব’, শাহিনবাগকে শাহের বার্তা
এর আগে সিএএ প্রতিবাদী ও শাহিনবাগের আন্দোলকারী সৈয়দ আমীর তাসি বলেছিলেন, 'আমরা অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। কিন্তু কতজনের সঙ্গে তিনি দেখা করতে চান তা স্পষ্ট করেননি তিনি।' আরেক প্রতিবাদী মেহেরুনিসা বলেন, 'আমরা সবাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁকে সিএএ-এনআরসি প্রত্যাহারের কথা বলব।' আন্দোলনকারীদের কথায়, দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শাহিনবাগ।
প্রতিবাদীদের দাবি ছিল, তাদের সঙ্গে সরকার পক্ষ আন্দোলন নিয়ে কোনও কথা বলছে না। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ শাহিনবাগের সিএএ প্রতিবাদীদের কাছে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে আলোচনার আবেদন করেছিলেন। তারপর একই আবেদন এল অমিত শাহের কাছ থেকে। দেশজুড়ে সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদ। লোকসভায় অভাবনীয় সাফল্যের পর একের পর এক রাজ্যে ভোটে হার। তারপরই নাগরিক আইন নিয়ে বেশকিছুটা সুর নরম গেরুয়া শিবিরের।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুশারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সেদেশের সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন, শিখ, পার্সি) যেসব মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন তাদের সকলকে এদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। ধর্মীয় ভিত্তিতে কেন কোনও আইন তৈরি হল? সিএএ বিজেপির দেশভাগের চক্রান্ত বলে সরব বিরোধী শিবির।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন