লোকসভা নির্বাচনের তিন মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের হাতেই দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের ব্যাটন তুলে দিলেন রাহুল গান্ধী। এই পদ থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অজয় মাকেন সরে যাওয়ার পর দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আসন শূন্য ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লির ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি সদস্য পি সি চাকো শীলার পদ প্রাপ্তির খবর জানান। এদিন দিল্লি কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন দেবেন্দ্র যাদব, রাজেশ লালঠিয়া, হারুন ইউসুফ।
পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজধানীতে দলের ব্যাটন হাতে নিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তিন দফায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে। এ ক্ষেত্রে ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে দিল্লিতে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট গড়ার কাজটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, অজয় মাকেন আপ-এর সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া চালাতে অস্বস্তি বোধ করাতেই তাঁকে সরে যেতে হয়েছে বলে মনে করে দলেরই একাংশ। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, আপ-এর জনপ্রিয়তা যে কমছে সে কথা হাই কম্যান্ড বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত মাকেন দায়িত্বে থাকলে আপ-কং জোট হওয়া কঠিন বলেই তিনি সরেছেন।
এদিন প্রদেশ সভাপতি পদে শীলা দীক্ষিতের নাম ঘোষণা হতেই টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অজয় মাকেন। তিনি লিখেছেন, "...আমি নিশ্চিত তাঁর নেতৃত্বে আমরা মোদী ও কেজরিবাল সরকারের বিরুদ্ধে চরম বিরোধী ভূমিকা পালন করতে পারব..."। অজয় মাকেনের এই মন্তব্য থেকেই তাঁর আপ-এর প্রতি মনোভাব স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, অজয় মাকেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সভপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই শীলা দীক্ষিতের নাম নিয়ে জল্পনা হয়েছিল। তবে সে সময় তিনি এ বিষয়ে আগ্রহী নন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
Read the full story in English